বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম-মধ্য অঞ্চলে নিম্নচাপের সৃষ্টি হওয়ায় ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান।
উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। বর্তমানে সেন্টমার্টিনে প্রায় চার শতাধিক পর্যটক রয়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে দেশের চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে বুধবার দুপুরের পর থেকে আবহাওয়া গুমোট হয়েছিল। সাগর ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এ কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় জাহাজ চলাচল শুরু হবে। তখন দ্বীপে থাকা পর্যটকরা ফিরে আসতে পারবেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেয়ারি সিন্দাবাদে ১৩২ জন, আটলান্টিকে ৮৯ ও এমভি বারো আউলিয়ায় ২৯৮ জন পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গেছেন। পরে জাহাজে করে বেলা ৩টায় তিন শতাধিক পর্যটক ফেরত আসলেও অন্যরা দ্বীপে রয়ে গেছেন।
আগের দিন মঙ্গলবার বেড়াতে গিয়ে রাত যাপনের জন্য ছিলেন দুই শতাধিক পর্যটক। ফলে দ্বীপে এখন চার শতাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে আবহাওয়া বৈরী হওয়ায় পর্যটকরা আটকা পড়েছেন। বুধবার বিকেল থেকে আবহাওয়া গুমোট হয়ে আছে। সাগর ধীরে ধীরে উত্তাল হচ্ছে। সন্ধ্যার পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।