র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেলেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখসান্দ
মোহনা অনলাইন
র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাকসান্দ। ইমার্জেন্ট লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে রাকসান্দকে এই পুরস্কারটি দেয়া হয়েছে।
পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠানটি গত শনিবার ম্যানিলায় মেট্রোপলিটন থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়। পুরস্কারটি গ্রহণ করতে ফিলিপাইনে যান করভি রাকসান্দ।
এ বছর বিভিন্ন বিভাগে মোট চারজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশের করভি রাকসান্দের পাশাপাশি রয়েছেন ভারতের রবি কান্নান আর., ফিলিপাইনের মিরিয়াম করোনেল-ফেরার এবং পূর্ব তিমুরের ইগুয়েনিও লেমোস।
গত ৩১ আগস্ট পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে অ্যাওয়ার্ড কর্তৃপক্ষ। সেখানে রাকসান্দ জায়গা করে নেন সামাজিক এবং স্থিতিশীল উন্নয়নে অবদানের জন্য।
করভি রাকসান্দের হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন চেয়ারম্যান, তৃতীয় অরেলিও আর. মন্টিনোলা এবং সিনেটর রামোন বি. ম্যাগসেসে, জুনিয়র। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ২০০২ সালে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারপ্রাপ্ত দক্ষিণ কোরিয়ার দ্য ভেনারেবল পমনিয়ান সুনিম। সম্মানিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের ফার্স্ট লেডি খ্যাত লিজা অ্যারানেতা-মার্কোস।
জাগো ফাউন্ডেশনের দূরদর্শী নেতৃত্বে সামাজিক পরিবর্তনে উদ্যোগী ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেলেন করভি রাকসান্দ। জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল এবং ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) প্রোগ্রামটি তারই অধীনে পরিচালিত হয়। ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ (ভিবিডি) সংগঠনে বর্তমানে ৫০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচির জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
অন্যদিকে, জাগো ফাউন্ডেশন স্কুল শিক্ষার মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত এবং সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য প্রদানের লক্ষ্যে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কারকে এশিয়ার নোবেল পুরস্কার বলা হয়। মহাদেশজুড়ে উল্লেখযোগ্য সামাজিক অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এটি দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত মোট ৩৪৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছে। এই কাতারে এবার যুক্ত হলো বাংলাদেশের রাকসান্দের নাম।
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রামোন ম্যাগসেসের স্মরণে ১৯৫৭ সালে রকেফেলার ব্রাদার্স ফান্ড প্রবর্তন করে এই পুরস্কার। নিষ্ঠা, সাহস ও আত্মত্যাগের সাথে কাজ করার মধ্য দিয়ে যারা এশিয়ায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন, তাদের সম্মান জানাতেই এই পুরস্কারের আয়োজন।