উত্তরাখণ্ডে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকরা সবাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মীরা। তারা জানান, শ্রমিকদের সুড়ঙ্গ থেকে বের করতে আরো সময় লাগবে।
মঙ্গলবার প্রথম শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। দুপুরে তাদের বোতলে করে খিচুড়ি পাঠানো হয়েছিল। রাতে পাঠানো হয়েছে পোলাও ও পনির। পাইপের ভেতর দিয়ে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছিল ক্যামেরা। আটক শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, তারা সবাই সুস্থ আছেন। তবে মাঝে মাঝে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন। সে জন্য রাতের খাবারের সঙ্গে অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট ট্যাবলেটও পাঠানো হয়েছে তাদের।
শ্রমিকদের সঙ্গে এই যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন উদ্ধারকর্মীরা। তাদের সারাক্ষণই মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। বস্তুত, বাইরে থেকে সুড়ঙ্গের ভিতর পর্যন্ত একটি ছয় ইঞ্চির পাইপ ঢোকানো সম্ভব হয়েছে। সেই পাইপের মাধ্যমেই তাদের কাছে খাবার এবং ক্যামেরা পাঠানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোন এবং চার্জার। বেশ কয়েকজন শ্রমিকের পরিবারের সদস্যদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের সেখানে হোটেলে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শ্রমিকেরা যাতে কথা বলতে পারেন, সে জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন লেফটন্যান্ট জেনারেল সৈয়দ আটা হাসনাইন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ”ভিতরে পর্যাপ্ত জল আছে। অক্সিজেনরও সমস্যা নেই। ফলে আটক শ্রমিকদের আরো কয়েকদিন সেখানে থাকতে সমস্যা হবে না।” বস্তুত, তিনি এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, উদ্ধারকাজে আরো সময় লাগবে। এখনো পর্যন্ত সঠিক রাস্তা তৈরি করা যায়নি।
এর আগে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছিল, আরো একটি বড় পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদের বের করার রাস্তা তৈরি হতে পারে। তবে বুধবার এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি উদ্ধারকারীরা। সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
১১ দিন ধরে সুড়ঙ্গে আটকে আছেন ৪১জন শ্রমিক। উত্তরাখণ্ডে রাস্তা তৈরির কাজের সময় এই বিপর্যয় ঘটে। সুড়ঙ্গ তৈরির সময় ধস নেমে সুড়ঙ্গের মুখটি বন্ধ হয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত সেই মুখ খোলা যায়নি।