সাভারের তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ডের ১১ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে কারখানাটিতে অগ্নিকাণ্ডে ১১২ জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। আহত হন প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ করবে বিভিন্ন সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠন।
আজ থেকে ১১ বছর আগে ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে আগুন লাগে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরিন ফ্যাশনের আটতলা ভবনে। ভয়াবহ আগুনের কথা এখনও মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন ভুক্তভোগীরা। ১১ বছর পর নিশ্চিন্তপুরের ভবনটি দাঁড়িয়ে থাকলেও একসময়ের কর্মঠ শ্রমিকরা এখন আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। শারীরিক যন্ত্রণা, সংসারের অনটনের পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি না পাওয়ার আক্ষেপে দিন কাটছে তাদের।
শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, এই দীর্ঘ ১১ বছরেও হতাহত শ্রমিকরা পায়নি পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা। এ ছাড়া সরকার ও বিজিএমইএর কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী মেলেনি প্রাপ্তি। তাজরিন ফ্যাশন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১১২ জন শ্রমিক মারা যান। আর আহত হন প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক। পঙ্গুত্ববরণ করে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আরও শত শত শ্রমিক।
কারখানাটিতে এক হাজার ১৬৩ জন শ্রমিক কাজ করতেন, দুর্ঘটনার সময় ৯৮৪ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। মরদেহ শনাক্ত হওয়ায় ৫৮ জনকে পরিবার ও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যদের মরদেহ শনাক্ত না হওয়ায় তাদের জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন চৌধুরী বলেন, তাজরীনে আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে ঐকারখানার মালিক দেলোয়ার হোসেনের সুপরিকল্পিতভাবে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ১১২ জন শ্রমিককে হত্যা করেছে এবং আহত হয়েছে শতশত শ্রমিক। এ ঘটনার ১১ বছর পার হলেও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে মালিকপক্ষের অবহেলায় পোশাকশিল্পে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। অতিবিলম্বে তাজরীনের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।