একটানা অনেকক্ষণ পড়াশোনা বা অফিসের কাজ করলে আমাদের অনেকেরই ঘাড়ে ব্যথা হয়। ঘাড় গুঁজে অনেকক্ষণ কাজ করলে ঘাড়ে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক।
তবে এ ধরনের ব্যথা যে শুধু মোবাইল ব্যবহার বা পড়াশোনা করলেই হবে এমন কিন্তু না। এসব ব্যথা অগ্রাহ্য করলে হতে পারে আরও বড় বিপদ। তাই সবার প্রথমে আমাদের উচিত ঘাড় ব্যথার আসল কারণ খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।
১) মানসিক চাপ
মানসিক চাপের সঙ্গে মাথা এবং ঘাড়ের সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন, উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অবসাদের মতো ঘটনাও কিন্তু ঘাড়ের পেশির উপর চাপ ফেলে। রক্তচাপ বেড়ে গেলেও কাঁধে, ঘাড়ে কষ্ট হতে পারে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে ঘাড়ের যন্ত্রণা দীর্ঘায়িত হয়।
২) পুরনো ক্ষত
ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাৎ ঝাঁকুনিতে বা দুর্ঘটনায় ঘাড়ে চোট লেগে থাকলে সেই ব্যথাই ঘুরে ফিরে আসতে পারে বার বার। সেই দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি।
৩) অত্যধিক পরিশ্রম
রোগা হবেন বলে অত্যধিক পরিশ্রম করছেন কি? তা হলেও কিন্তু ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। একই রকম ভাবে একদিনে বাড়ির সমস্ত কাজ করলেও ঘাড়ের পেশির উপর চাপ পড়তে পারে। বিরতি না নিয়ে একটানা অনেকক্ষণ গাড়ি চালালেও কিন্তু ঘাড়ের পেশির উপর চাপ পড়ে।
৪) ভুল ভঙ্গি
যোগাসন, জিমে গিয়ে ভুল শরীরচর্চা কিংবা শোয়ার ভুলেও ঘাড়ে চোট লাগতে পারে। যা থেকে ঘাড়ের ব্যথা দীর্ঘায়িত হয়। দীর্ঘ দিন একই ভাবে কাঁধে ভারী ব্যাগের বোঝা নিলেও কিন্তু ঘাড়ের পেশিতে চোট লাগতে পারে।
৫) আর্থ্রাইটিস
বাতের নাম শুনলে প্রথম হাঁটু, কোমরের কথাই মাথায় আসে। তবে ঘাড়ের ভার্টিব্রাল অস্থিসন্ধিতেও কিন্তু আর্থ্রাইটিস হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও ঘাড়ে কষ্ট হয়।