বর্তমানে সংসদ সদস্য হলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ক্ষমতাসীন আওয়মী লীগের মনোনয়ন পাননি ৭২ জন। এদিকে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও তাদের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে বাধা দেবে না বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। ফলে এসব সংসদ সদস্যের অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাইতে পারেন। নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে ওই সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ সংসদ সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘যে কেউই স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন। তবে দলীয় সংসদ সদস্যরা পদে থেকে নির্বাচন করতে পারবেন না যদি তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চান।’ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে দলটির বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে রাশেদা সুলতানা মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনো আইনি ব্যাখ্যা দেননি।
এ বিষয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ’সংবিধানের ৬৬ ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ অনুচ্ছেদে সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা আছে। সেখানে কোনো দলের সংসদ সদস্য পদে বহাল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন না—এমন কোনো বিধান নেই।’
আরেক সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলামও একই মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ’দলীয় কোনো সংসদ সদস্য দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থি আচরণ করলে সংশ্লিষ্ট দল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে পারে। তাতে তার সংসদ সদস্য পদ হারাতে হবে কি না, সে বিষয়টি স্পষ্ট না। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বলা আছে, দল থেকে পদত্যাগ করলে বা সংসদে দলের বিরুদ্ধে ভোট দিলে তার আসন শূন্য হবে। আবার এটাও বলা আছে যে, তবে তিনি সেই কারণে পরবর্তী কোনো নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবেন না।‘