ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। শীতের সময়ে শরীরে প্রয়োজন পরে একটু বাড়তি যত্নের। সেই সঙ্গে যদি শীতকালের ঠাণ্ডার মাত্রা কিছুটা কমিয়ে আনা যায় তাহলে মন্দ হয়না। তাই শরীরে তাপ তৈরির জন্য খেতে হবে বিশেষ কিছু খাবার। এমন কিছু খাবার আছে যা ঠাণ্ডা দূর করে শরীরে এনে দেবে উষ্ণতা।
শীতে কয়েকটি খাবার শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে। এই জমে যাওয়ার আবহাওয়ায় একটু উষ্ণতার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে শরীর গরম রাখার মতো ৫টি খাবার সম্পর্কে।
১. ডিম: ডিমকে বলা হয় ‘শক্তির পাওয়ার হাউস’। ডিম কেবল আপনার শরীরকেই উষ্ণ রাখে না, এতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন, যা আপনার শরীরকে শীতকালে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। তাই এই শীতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে একটি করে ডিম।
২. গুড়: গুড় চিনির চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ফসফরাস, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম, এবং পটাসিয়াম রয়েছে। গুড় শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ তাপ উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
৩. বাদাম: বিভিন্ন জাতের বাদাম যেমন, চিনাবাদাম, আখরোট, কাঠবাদাম ইত্যাদি ভালো কোলেস্টেরল, ভিটামিন, ফাইবার ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের সবচেয়ে ভালো উৎস। গরমজাতীয় খাবার বলে শীতে স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম খেতে পারেন। এগুলি শরীরে শক্তি ও ফূর্তির সঞ্চার করে।
৪. তিল: শীতকালে নিজেকে গরম রাখতে চাইলে তীল ভালো কাজে দিবে। শীতে তিলের নাড়ু, খাজা, পিঠার মতো খাবার বেশ জনপ্রিয়। তিল শুধু শরীর গরম রাখতেই নয়, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানো, লিভার ভালো রাখার কাজও করে।
৫. মধু: সর্দি, কাশি, ফ্লু ইত্যাদির বিরুদ্ধে লড়তে অনন্য এক উপাদান মধু। মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেও মধুতে নেই বাড়তি ক্যালরির ঝামেলা। এছাড়া শরীর গরম রাখতেও বেশ উপকারী। মধুতে থাকা উপাদান শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিয়ে ঠান্ডা লাগা কমায়। মধু খেলে এজন্য ঠাণ্ডা কম লাগে।