ফিলিপিন্সের দক্ষিণের মিন্দানাও অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর জাপানের দক্ষিণপশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টা ৩৭ মিনিটের দিকে দেশটির মিন্দানাও ও এর আশপাশের এলাকা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস।
ফিলিপিন্সের দক্ষিণের মিন্দানাও অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর জাপানের দক্ষিণপশ্চিমের উপকূলীয় অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টা ৩৭ মিনিটের দিকে দেশটির মিন্দানাও ও এর আশপাশের এলাকা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে।
ফিলিপিন্সের সিসমোলজিক্যাল এজেন্সি-ফিভল্ক্স থেকে সে দেশেও সুনামির সতর্কতা জারি করে বলেছিল, স্থানীয় সময় মধ্যরাতে (জিএমটি ১৬:০০) সুনামি আঘাত হানতে পারে এবং তা কয়েকঘণ্টা ধরে স্থায়ী হতে পারে। যদিও পরে ইউএস সুনামি ওয়ার্নিং সিস্টেম থেকে বলা হয়, “হাতে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে বলা যাচ্ছে এই ভূমিকম্পের কারণে সুনামি হওয়ার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা কেটে গেছে।”
তার আগে সুনামির সতর্কতা জারি করে ফিভল্ক্স থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, “ভূমিকম্পের সময় যে নৌকাগুলো সমুদ্রে রয়েছে সেগুলোর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলে গভীর পানিতে থাকা উচিত। সেইসঙ্গে সুরিগাও দেল সুর এবং দাভাও অরিয়েন্টাল প্রদেশে যারা সমুদ্র উপকূলের নিকটবর্তী এলাকায় বসবাস করেন তাদের ‘দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে’ সরে যেতে বলা হয়েছিল। জাপানের টেলিভিশন এনএইচকে থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছিল, ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় আধাঘণ্টা পর (জাপান সময় রোববার ১:৩০ মিনিট এবং জিএমটি ১৬:৩০) সমুদ্র থেকে প্রায় এক মিটার উঁচু ঢেউ জাপানের দক্ষিণপশ্চিম উপকূলে উঠে আসতে পারে।
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। তবে ফিভল্ক্স থেকে এত শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম ভূমিকম্পের পর ফিলিপিন্সে আরো একটি ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী পরাঘাত অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
উপকূলীয় শহর হিনাতুয়ানের পুলিশ প্রধান রেমার্ক জেনতালান বলেন, ভূমিকম্পের পর শহর এবং আশেপাশের এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল এখনো কোথাও হতাহত হওয়া বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পায়নি।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা রিং অব ফায়ারকে বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির সক্রিয় অঞ্চল হিসেবে শনাক্ত করেছে।