চট্টগ্রামসংবাদ সারাদেশ

ইতিহাসের এই দিনে হানাদার মুক্ত হয় লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : মামুনুর রাশিদ

৫২ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় লক্ষ্মীপুর। সেদিন  জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বাত্মক আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করে। মুক্তি পায় এই অঞ্চলের মানুষ। যেকারণে এই দিনটি লক্ষ্মীপুর হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পরিচিত।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে এই অঞ্চল ছিল পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের হত্যা, লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষত-বিক্ষত।
লক্ষ্মীপুরকে হানাদার মুক্ত করতে বীর  মুক্তিযোদ্ধারা জেলার বিভিন্ন স্থানে পাক-হানাদার বাহিনীর সাথে ১৯টি সম্মুখ যুদ্ধসহ ২৯টি দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এতে শহীদ হন ১১৪ জন বীর  মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েক হাজার মুক্তিকামী বাঙ্গালী। পাক-হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে সর্বপ্রথম মুক্তিযোদ্ধারা জেলা শহরের মাদাম ব্রিজটি উড়িয়ে দেয়। আজও এর স্মৃতি হিসেবে ব্রিজের লোহার পিলারগুলো দাঁড়িয়ে আছে। যুদ্ধের দিনগুলোতে পাক-হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন স্থানে নারকীয় তান্ডবলীলা চালিয়েছে। হানাদার বাহিনী শহরের বাগবাড়ীতে ক্যাম্প স্থাপন করে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিকামী মানুষ গুলোকে ধরে এনে পাশবিক নির্যাতন চালাতো। এরপর হত্যা করে বাগবাড়ি গণকবর, মাদাম ব্রীজ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গর্তে ফুতে রাখতো। আবার অনেককের লাশ ফেলে দিয়েছিল খরস্রোতা রহমতখালী নদীতে। নারকীয় এসব হত্যাযজ্ঞের নিরব সাক্ষী হয়ে আছে শহরের বাগবাড়ীস্থ গণকবর, মাদাম ব্রীজ ও মজুপুরের কয়েকটি হিন্দু ও মুসলমান বাড়ী।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছর শহীদদের কবর জিয়ারত ও মোনাজাত, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জানানো হয় শ্রদ্ধা। এবারও থাকছে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে নানা কর্মসূচি।
author avatar
Mohona Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button