দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দাখিল করা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষদিন আজ সেমাবার। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছিল এই কার্যক্রম। যাচাই-বাছাইয়ে গড়মিল পাওয়ায় এরইমধ্যে অনেক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে গেছে।
এবার মনোনয়নপত্র যাচাইয়ে যে বিষয়গুলো বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তা হলো প্রার্থীর ব্যক্তি তথ্য। তথ্য গোপন করলেই যে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে, হচ্ছেও।
তবে যাদের মনোনয়পত্র বাতিল হয়েছে, নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে ইতোমধ্যে তাদের কেউ কেউ মনোনয়ন ফিরে পেয়েছেন, কেউ পাননি, কারও কারও আবার আবেদন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। যাচাই-বাছাইয়ে বেশ গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে কয়েকটি বিষয়। এরমধ্যে রয়েছে-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের তথ্য ঠিক কি না কিংবা কেউ তথ্য গোপন করেছেন কি না। এছাড়া কোনো প্রার্থী ফৌজদারি মামলার আসামি বা ঋণখেলাপি কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে প্রার্থীদের টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বিল পরিশোধের হালনাগাদ তথ্যও।
আজ সোমবার মনোনয়ন পত্র বাছাইয়ের শেষ দিন। ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হলেও আজ ৪ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে বাছাইয়ের কাজ। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বাতিল ও বৈধ ঘোষিত মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছে। আগামীকাল ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি করে ইসির পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত জানান হবে।
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এই নির্বাচনের প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়।
পরদিন ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। সবশেষে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।