রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গ্রেপ্তার শহিদুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিদেশে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরিও করেছেন। ষ্ট্যান্ডার্ড চার্টাড, কানাডা, উগান্ডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। পরে দেশে ফিরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। মাদকের টাকা সংগ্রহে ইয়াবা কারবার শুরু করেন। এরপর সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণা শুরু করেন। বেশ কিছু দিন ধরে শহিদুর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহা-পরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি পরিচয়ে জামালপুর, শেরপুর জেলার ডিসিসহ বিভিন্ন জেলা পরিষদের কার্যালয়ের প্রধান নির্বাহীদের ফোন করে প্রতারণার করছিলেন। এমন কি তিনি বিয়ের দাওয়াতের নামে স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে নিজের বন্ধুর সঙ্গেই প্রতারণা করেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর নিউ মার্কেটসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
প্রতারক শহিদুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর জানা গেছে, তিনি ইয়াবা কারবারে জড়িত। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইন ও প্রতারণাসহ ১০ টিও বেশি মামলার রয়েছে।
গোয়েন্দা প্রধান হারুন আরও বলেন, শহিদুরের উদ্দেশ্য ছিলো মাদক ও প্রতারণার মাধ্যমে ১০-১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুবাই রেসিডেন্স পারমিট নিয়ে চলে যাওয়া।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার আবু জাফর রাজু’র পরিচয়ে বিভিন্ন প্রার্থীকে কোটি টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন পাইয়ে দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে আরেক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর)। গ্রেপ্তার মনিরুলের বিরুদ্ধে ডাকাতি, ধর্ষণ ও মাদক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি একাধারে মাদক, ধর্ষণ, ডাকাতি, প্রতারণা করছিলেন। ভুট্টো নিজেই বিএনপি কর্মী। কিন্তু নিজে প্রটোকল অফিসার পরিচয়ে প্রতারণা করেন। বিভিন্ন ব্যক্তিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্রতারণার চেষ্টা করছিলেন।