শীতে শুষ্ক আবহাওয়া, বাতাসে জলীয় বাষ্পের অভাব ত্বককে রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ করে তোলে। বাজারচলতি ময়েশ্চারাইজ়ার মাখার কিছু ক্ষণের মধ্যেই তা ত্বক টেনে নেয়। আর্দ্রতা ধরে রাখে, এমন ময়েশ্চারাইজ়ারের মধ্যে প্যারাফিনের মতো রাসায়নিক থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। যা সাময়িক ভাবে ত্বককে পেলব করে।
কিন্তু এই সমস্ত প্রসাধনীর দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার ত্বকের ক্ষতিও করে। এ ক্ষেত্রে ভরসা হতে পারে প্রাকৃতিক উপাদান গ্লিসারিন। বর্ণগন্ধহীন এই তরলটি কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের সমস্যা দূর করতে পারে। কিন্তু কী ভাবে ব্যবহার করবেন গ্লিসারিন?
১) মাস্ক: শুষ্ক ত্বকে চটজলদি জেল্লা আনতে মধু এবং গ্লিসারিন মিশ্রিত মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়ার পর, এই মাস্ক মুখে মেখে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তার পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২) টোনার: প্রথমে একটি কাচের শিশিতে ১:৩ অনুপাতে ডিস্টিল্ড ওয়াটার এবং গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। চাইলে ভাল মানের গোলাপ জলও মিশিয়ে নিতে পারেন। এই মিশ্রণ ত্বকে জলের ঘাটতি পূরণ করে। ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর এই টোনার সারা মুখে স্প্রে করে নিতে পারেন।
৩) ক্রিম: ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত তৈলাক্ত ক্রিমই কিনুন না কেন, কিছু ক্ষণ পরেই ত্বক খসখসে হয়ে যায়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে স্নান করার পর, রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ক্রিমের বদলে ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন।
৪)মিস্ট: পরিষ্কার একটি স্প্রে বোতলে অ্যালোভেরা জেল, গোলাপ জল এবং কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন ভাল করে মিশিয়ে নিন। সারা দিন ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি জেল্লা ধরে রাখতেও সাহায্য করে গ্লিসারিন দিয়ে তৈরি এই মিস্ট। যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক, তাঁরা এই মিস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
৫)সিরাম: ত্বকে কালচে ছোপ পড়েছে। খরচ করে ফেসিয়াল করার পরেও সেই দাগ দূর করা যাচ্ছে না। কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস, গোলাপ জল এবং গ্লিসারিন— এই তিন উপাদানের মিশ্রণ নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালচে ছোপ দূর হবে। জেল্লাও ফিরবে।