প্রশ্নমূলক শিক্ষাদান পদ্ধতির অভিযোগ এনে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় মুসলিম স্কুলে অর্থায়ন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। সোমবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে। এদিকে ফ্রান্সের কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ওপর বিস্তৃত দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০০৩ সালে দেশটিতে ‘প্রাইভেট স্কুল অ্যাভেরোয়েস’ নামের এই মুসলিম স্কুলটির যাত্রা শুরু হয়। ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের লিলে শহরে প্রথম মুসলিম স্কুলটির অবস্থান। আট শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুলটিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলে আসছিল। ২০০৮ সাল থেকে ফ্রান্স সরকারের সঙ্গে চুক্তির আওতায় আসে বিদ্যালয়টি। সেসময় থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ফ্রান্সের নিয়মিত শিক্ষাক্রমের পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষাও দেয়া হত।
অ্যাভেরোসের প্রধান শিক্ষক এরিক ডুফোর বলেছেন যে, তিনি এখনও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় অফিস থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পাননি। তবে এমন আদেশের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান ডুফোর। অনেক মুসলিম মনে করে থাকেন ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার বাস ফ্রান্সে। কিন্তু ২০১৫ সালে দেশটিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর থেকেই মুসলিমদের প্রতি সরকার বিদ্বেষী হয়ে পড়ে।
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় দপ্তর বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। পরে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।