ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গাজায় স্থায়ীভাবে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই। এ ছাড়া এই অঞ্চলটি কে নিয়ন্ত্রণ করবে সে সম্পর্কে আলোচনার বিয়ষটি উন্মুক্ত আছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্থায়ীভাবে থাকার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। টাইমস অফ ইসরায়েল তাকে উদ্ধৃত করে এ কথা জানিয়েছে বলে মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, গাজায় স্থায়ীভাবে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই। এ ছাড়া এই অঞ্চলটি কে নিয়ন্ত্রণ করবে সে সম্পর্কে আলোচনার বিয়ষটি উন্মুক্ত আছে।
গ্যালান্ট বলেন, গাজায় শত শত হামাস সদস্য সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আত্মসমর্পণ করেছে বা গ্রেপ্তার হয়ছে। এদের মধ্যে ৭ অক্টোবরের হামলায় অংশগ্রহণকারীরাও রয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা জাবালিয়া এবং শেজাইয়াতে হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি ঘেরাও করেছি। যে ব্যাটালিয়নগুলোকে অপরাজেয় বলে মনে করা হয়েছিল, যারা আমাদের সাথে লড়াই করার জন্য বছরের পর বছর ধরে প্রস্তুত ছিল, সেগুলো ভেঙে ফেলার পথে রয়েছে।
তিনি বলেন, যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের সাথে একভাবে আচরণ করা হবে এবং যারা আত্মসমর্পণ করবে না তাদের সাথে অন্যভাবে আচরণ করা হবে। গাজায় ইরসায়েলি হামলায় এরই মধ্যে নিহতের সংখ্যা ১৮ হাজার পেরিয়ে গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
উত্তর গাজার পর এখন দক্ষিণ গাজায় স্থলপথে অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনারা। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের উত্তরাঞ্চলে এই অভিযান চলছে ব্যাপকভাবে। ইসরায়েল কর্তৃপক্ষের ধারণা, হামাস নেতৃত্বের সদস্যরা খান ইউনিস শহরে লুকিয়ে আছে।
ইসরায়েলে ঢুকে হামাস গত ৭ অক্টোবর আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয় দেশটি। এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়।
এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। তবে আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি।