খ্রিষ্টীয় ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব গোটা বিশ্বে। বড়দিনকে কেন্দ্র করে গির্জায় গির্জায় চলছে সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, ক্রিসমাস ট্রি, সান্তাক্লোজের পোশাক কেনাকাটাসহ অনেক কিছু।
যীশু খ্রীস্টের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই দিনে গোটা বিশ্বে বড়দিন বা ক্রিসমাস পালিত হয়। চারিদিক সেজে ওঠে রঙবেরঙের আলো, ক্রিসমাস ট্রি-তে। বড়দিন মানেই সান্টা ক্লজ এবং প্রিয়জনদের থেকে গিফ্ট পাওয়া। বাচ্চা থেকে বড়ো সকলেই গিফ্টের অপেক্ষায় থাকে। বাঙালিরাও এই উৎসবকে আপন করে নিয়েছে। মকর সংক্রান্তির পিঠে-পুলির আগে বড়দিনের কেক যেন বাঙালির হেঁশেলের আপন জিনিস হয়ে উঠেছে।
জেনে নেওয়া যাক কেমন হতে পারে বড়দিনের উপহার-
ফুল: পছন্দের মানুষগুলোর জন্য একগুচ্ছ ফুল হতে পারে ভালোবাসার উপহার। বিশেষ করে একান্ত কাছে মানুষের জন্য ফুল সবচেয়ে উপযোগী উপহার হতে পারে। এছাড়া ফুলের সাথে ডায়েরী ও কলম দিতে পারেন।
চকোলেট : বড় বা ছোট, চকোলেট পছন্দ করে না এমন লোক খুব কমই আছে। আর শিশুদের জন্য চকোলেট অন্যতম আকর্ষণীয় উপহার। তাই পরিবারের ছোট সদস্যদের জন্য বড়দিনের উপহার হিসেবে চকোলেটের প্যাকেজ বা চকোলেট বক্স দিতে পারেন।
বড়দিনের কেক : ক্রিসমাস কেক ছাড়া বড়দিন অসম্পূর্ণ। শুধু বাড়ির জন্য নয়, উপহার হিসেবেও বেশ দারুণ। বড়দিনে কেক তৈরি করে উপহার দিতে পারেন বা দোকান থেকে অর্ডার করতে পারেন চকোলেট, ব্ল্যাক ফরেস্ট বা পছন্দমতো যে কোনো ফ্লেভারের বড়দিনের কেক।
পারফিউম : যে কোনো উৎসবে উপহার হিসেবে পারফিউম উপযুক্ত। ভাইবোন বা বন্ধু-বান্ধবকে বড়দিনের উপহারে পারফিউমের সেট দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড দেখে সুগন্ধি পারফিউম বাছাই করতে হবে। অথবা কার কোন ধরনের সুগন্ধি পছন্দ সেটা মাথায় রেখে উপহার দেবেন।
বড়দিনের কার্ড : শুভেচ্ছা জানানোর জন্য কার্ডের প্রচলন কিন্তু এখনো রয়েছে। তাই বড়দিনের উপহারের তালিকায় নিত্যনতুন ডিজাইনের শুভেচ্ছা লেখা কার্ড রাখতে পারেন। উপহার হিসেবে প্রিয়জনকে দিতে পারেন চকোলেটের সঙ্গে শুভেচ্ছা কার্ড।
ফুলের সঙ্গে ডায়েরি ও কলম : বড়দিনের উপহারের তালিকায় রাখতে পারেন কলম ও ডায়েরি। সঙ্গে এক গুচ্ছ গোলাপ তোড়া কিংবা যে কোনো ফুল জুড়ে দিলে উপহার আরও মানানসই হবে।
পোশাক : উপহার হিসেবে পোশাক সবসময় দারুণ। নারীদের জন্য শিফন, জামদানি, নেট বা বেনারসিসহ নানান ধরনের শাড়ি উপযুক্ত উপহার হতে পারে। পুরুষদের পোশাকের মধ্যে সেরা উপহার হবে ট্র্যাডিশনাল পাঞ্জাবি।
টেডি বিয়ার : ছোটদের উপহার কিনতে বেগ পেতে হয়। সময় এবং চিন্তা দুটিই বেশি ব্যবহার হয় এ ক্ষেত্রে। কারণ তাদের মনমতো উপহার নির্বাচন করা কঠিন ব্যাপার। শিশুদের খেলার জিনিসের ওপর সবসময় ঝোঁক একটু বেশিই থাকে। তাই তাদের উপহার হিসেবে সান্টা ক্লজের পুতুল বা টেডি বিয়ার বাছাই করতে পারেন।
অলংকার : বর্তমান সময়ে বেশ সুন্দর সুন্দর অলংকার পাওয়া যায়। উজ্জ্বল পাথরের তৈরি অলংকার যে কারও পছন্দ হবে। তাই প্রিয় মানুষকে বড়দিনের উপহার হিসেবে দিতেই পারেন এমন কোনো অলংকার।
বই : একটু আধটু গল্পের বই পড়তে সবাই ভালোবাসে। আর যার বই পড়ার বাতিক আছে তার জন্য তো বই হবে জগতের সেরা উপহার। তাই বইপড়ুয়া প্রিয়জনকে উপহার হিসেবে তার পছন্দের লেখকের বই দিতে পারেন।
হস্তশিল্পের জিনিস : ঐতিহ্যকে ধারণ করে এমন শিল্প উপকরণও দিতে পারেন বড়দিনের উপহারে। মাটির তৈরি নানা উপকরণ এখন খুব সহজেই পেয়ে যাবেন হাতে পারে কাছে। ঘর সাজাতে হোক বা টেবিলের সামনে রাখার জন্য, আপনার উপহারটিই হবে সেরা।