জাতীয়

দুর্নীতিবাজদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রতিশ্রুতি: ইশতেহার

মোহনা অনলাইন

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ করার অঙ্গীকারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগান নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। ইশতেহারে রাষ্ট্র ও সমাজের স স্তরে ঘুষ-দুর্নীতি উচ্ছেদ, অনুপার্জিত আয় রোধ, ঋণ-কর-বিল খেলাপি ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়াসহ অবৈধ অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কঠোরতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।

দুর্নীতি রোধে বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যক্রমে দুর্নীতির কুফল ও দুর্নীতি রোধে করণীয় বিষয়ে অধ্যায় সংযোজন করার কথা নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরেছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং জাতির নৈতিক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় হলো দুর্নীতি। দুর্নীতির কারণে দেশের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ঈপ্সিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হয় না। কেবল আইন প্রয়োগ ও শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়, তার জন্য প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা।

বুধবার( ২৭ ডিসেম্বর) সকালে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার-২০২৪ ঘোষণায় এসব প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা।

ইশতেহারে বলা হয়, বর্তমানে দুর্নীতিসংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের টোল ফ্রি নম্বর ১০৬-এর মাধ্যমে জনগণ যেকোনো স্থান থেকে বিনা খরচে জানতে পারছে । আমাদের অঙ্গীকার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতি মোকাবিলায় কার্যকর পন্থা ও উপায় নির্বাচনপূর্বক তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী বাজেট বরাদ্দের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সমাজ তথা রাষ্ট্র থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা হবে। বিভিন্ন সেক্টরে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং জনগণের ভোগান্তি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে বলেও ইশতেহারে বলা হয়।

অনুষ্ঠানে ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের শীর্ষ নেতারা ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button