জাতীয়

নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উৎসব এর অপেক্ষায়

মোহনা অনলাইন

নতুন বছর মানেই ঘরভর্তি নতুন বইয়ের ঘ্রাণ। নতুন ক্লাসে ওঠার আনন্দ। নতুন বইয়ের মলাট বাঁধার আনন্দ। আর নতুন করে শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখা, এবার ভালো করবই। করোনা কিংবা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতাও থামাতে পারেনি বই উৎসব।

১লা জানুয়ারি সোমবার সারা দেশে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালিত হবে। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও ১লা জানুয়ারি বই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। কাল বই উৎসবে মেতে উঠবে শিক্ষার্থীরা।

এরইমধ্যে স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গেছে বিভিন্ন শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই। চলতি শিক্ষাবর্ষে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বিনামূল্যের পাঠ্যবই অনেক শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছেছিল বেশ দেরিতে। নিুমানের কাগজে ছাপা অনুজ্জ্বল বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিল এনসিটিবি। এ প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট সবাই আশা করেছিল, প্রতিষ্ঠানটি আগামী দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে মানসম্মত বই সময়মতো পৌঁছাতে সক্ষম হবে।

ইতোমধ্যে সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বই বিতরণ প্রায় শেষ করা হয়েছে। বিভাগের প্রাথমিক স্তরের ৯ হাজার ৩৩৩ বিদ্যালয়ের ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৯৮ শিক্ষার্থীর হাতে ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৯টি বই তুলে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ নতুন বই পৌঁছে গেছে।
সিলেটের সরকারি কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার চৌধুরী বলেন, আমরা নতুন বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেব। এর জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। ১ জানুয়ারি উৎসবের মাধ্যমে বই বিতরণ করা হলেও দেশের সব শিক্ষার্থীর পাঠ্যক্রম অনুযায়ী তাদের হাতে সব বই তুলে দিতে সময় লাগবে এক মাসের বেশি।
দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে নতুন বই দিয়ে আসছে সরকার।
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button