ওজন বেশি থাকাটা কোনও কাজের কথা নয়। ওবেসিটি থাকলে বহু গুরুতর অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে। সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। এবার ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে নানা পানীয়।
ওজন বেশি থাকার সমস্যাকে চিকিৎসকরা এখন রোগ হিসাবেই দেখেন। বিশেষত, পেটের মেদ (Abdominal Fat) বাড়লে শরীরে সমস্যা দেখা দেয় বেশি। কারণ ভুঁড়ি থাকলে পেটের ভিতরে থাকা অঙ্গতেও ফ্যাট জমে। এই ফ্যাট কিন্তু সমস্যা তৈরি করে। তাই সতর্ক থাকুন।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার- NCBI-এর মতে অ্যাপেল সিডার অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে খুব ভাল কাজ করে। এর ফলে শরীরের পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকে। পাকস্থলীর মধ্যেকার অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে বিপাক ক্রিয়া বাড়ে। এতে বিপাক ক্রিয়া বাড়ে। রোজ সকালে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খান। তবেই তফাত বুঝতে পারবেন।
ব্ল্যাক কফি- ব্ল্যাক কফি আমাদের শরীরের জন্য খুব ভাল। সেই সঙ্গে ফ্যাট গলাতেও সাহায্য করে। সবচেয়ে ভাল যদি ওয়ার্ক আউটের আগে খেতে পারেন। এতে শরীরে শক্তিও পাওয়া যাবে সেই সঙ্গে ওজনও কমবে তাড়াতাড়ি। তবে চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খেতে হবে।
গ্রিন টি- ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রিন টি মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এই কারণেই গ্রিন টি খেলে দ্রুত খাবার হজম হয়। নিউট্রিশনিস্টরা অনেক সময় রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেও গ্রিন টি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
মোসাম্বির জুস- বলা হয় যে কোনও ফল গোটা খেতে। তবে মোসাম্বি বা কমলালেবুর জুস খেতে পারলে খুব ভাল। এতে মেটাবলিজম বাড়ে। মোসাম্বির জুসের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। আছে বিভিন্ন রকম খনিজও। আর তাই এই মোসাম্বি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে মেটাবলিজম বাড়াতেও সাহায্য করে।