উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত মেট্রোরেলের লাইন সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত লাইন বৃদ্ধির ফিজিবিলিটির কাজ চলছে।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোতে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। ২০৩০ সাল নাগাদ চালু হবে মেট্রোরেলের ছয়টি লাইন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেট্রোরেল একটি অনন্য মাইলফলক উল্লেখ করে মন্ত্রী সময় সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব মেট্রো ট্রেনে নিয়মিত যাতায়াতের জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সেপ্টেম্বরে পাতাল রেলের কাজ শুরু করা যাবে। আরও নভেম্বরে এমআরটি লাইন-৫-এর উড়াল অংশের কাজ শুরু হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার ১৬টি মেট্রোরেল স্টেশনবিশিষ্ট এমআরটি লাইন-৬ এর ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি ৯৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এমআরটি লাইন-৬ মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার বর্ধিত করার নিমিত্ত নির্মাণকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্মাণের জন্য নির্ধারিত বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১২টি পাতাল মেট্রোরেল স্টেশন বিশিষ্ট বিমানবন্দর রুট এবং নতুনবাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৯টি মেট্রোরেল স্টেশন বিশিষ্ট পূর্বাচল রুট সমন্বয়ে মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-১ বাস্তবায়নের নিমিত্ত প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। আগামী সেপ্টেম্বর ২০২৪ মাসে এমআরটি লাইন-১ এর পাতাল অংশের কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছি।