স্বাস্থ্য

শীত পড়তেই জ্বর-সর্দি লেগেই আছে, সমস্যা এড়াতে কী কী খাবেন

মোহনা অনলাইন

শীত পড়তে না পড়তেই ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশিতে হাপিঁয়ে উঠছে ছোট থেকে বড় সবাই। শীতের শুরু থেকে অনেকের জ্বর-সর্দি লেগেই থাকে। যদিও এগুলি খুবই সাধারণ সমস্যা, তবু অস্বস্তি চলতেই থাকে। শীতের মজাও অনেকখানি নষ্ট হয়ে যায়। এর পরে যদিও বা জ্বর-সর্দি-ঠান্ডা লাগা সেরে যায়, তার পরে শরীর দুর্বল হয়ে থাকে। ফলে শীতের উৎসব বা ছুটির আনন্দও উপভোগ করা যায় না। 

শীতের এই সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা জ্বর-সর্দির হাত থেকে বাঁচবেন কীভাবে? কীভাবেই বা শরীর খারাপের ধাক্কা দ্রুত সামলে উঠবেন? এ জন্য দরকার খাদ্যাভ্যাসে কয়েকটি খাবার যুক্ত করা। কোন কোন খাবার এই শীতে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে, রইল সেই তালিকা।

কিউয়ি: যদিও এটি এখানকার ফল নয়, তবু এই আবহাওয়াতেও কিউয়ি শরীরের নানা রকম উপকার করতে পারে। এটি জ্বর বা সর্দি থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এই ফলের কয়েকটি উপাদান নানা রকমের ভাইরাস এবং ব্যাকটিরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে সাহায্য করে। এর ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ শক্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। রোজ একটি করে কিউয়ি খেলে ঠান্ডা লাগার সমস্যা কমে।

আদা: সাধারণত একে আদ্রাক বলে। আদা প্রতিটি ভারতীয়দের বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায়। খাবার থেকে পানীয়, সবেতেই নিয়মিত খাদ্যের অংশ হিসেবে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা যায়। আদা শুধু শীতকালে শরীরকে উষ্ণ রাখে তা নয়, এটিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য যা হজমশক্তিকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

স্যুপ: শীতকালে শরীর গরম করতে স্যুপের কোনও বিকল্প হয় না। লাঞ্চ, ডিনারে যে কোনও স্যুপ রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এটি যেমন শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে, তেমনি স্যুপ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ও পুষ্টিকরও বটে।

ডিম: ডিম হল একটি সম্পূর্ণ খাবার। সুপারফুড হিসেবে পরিচিত ডিম হল প্রোচিনের একটি দুর্দান্ত উত্‍স। শীতকালে শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। স্ন্যাকস, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনারের খাবারের সঙ্গে ডিম ডায়েটের তালিকায় যোগ করতে পারেন।

দই: শীতের শুরুতেই অনেকের শরীরেই নানা ধরনের সংক্রমণ হয়। সেগুলি সামলে উঠতে অনেককেই অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ খেতে হয়। তার প্রভাবে শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতি থেকে সেরে উঠতে সাহায্য করে দই। এতে প্রচুর পরিমাণে উপকারী ব্যাকটিরিয়া রয়েছে। সেগুলি শরীর সুস্থ করতে সাহায্য করে। রোজ দই খেলে শীতকালে শরীর ভালো থাকে।

মিষ্টি আলু: শাকসবজি হিসেবে মিষ্টি আলু রান্নায় ব্যবহার করা হয়। শীতের আবহে শরীরের উপর উষ্ণতার প্রভাব ফেলে এই সবজি। এটি ফাইবার, পটাসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। জটিল কার্বোহাইড্রেটের একটি উৎসও বলা যায়। যার কারণে শরীরকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিতৃপ্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে।

চা: শীতের সকালে গ্রিন টি, তুলসি টি, অথবা আদা চা-এর উপকারিতা রয়েছে। এতে যেমন ক্লান্তি দূর হয় তেমনি শরীরও সতেজ থাকে। রুটি- লাল আটার রুটিতে রয়েছে ফাইবার এবং ভিটামিন বি । ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে শরীরে উষ্ণ ভাব এনে দেয়। ভিটামিন বি শরীরকে উষ্ণ রাখে।

 

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button