ভিটামিন ই ত্বকের জন্য উপকারী। অল্প বয়সে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। ৩৫ পেরোতে না পেরোতেই ত্বকে বলিরেখা কিংবা মেচেতার মতো সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। এই সব সমস্যা যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাই মাঝেমধ্যে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান। প্যাকের মধ্যে ভিটামিন ই জেল মিশিয়ে মাখেনও।
ত্বক বা চুল যাই হোক না কেন, শুধু বাইরে থেকে যত্ন নিলে তো হবে না। ভিটামিন ই রয়েছে, এমন খাবার খেতেও হবে।চিকিৎসকরা বলছেন, ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিকল্প ৫টি সেরা খাবার রয়েছে। এগুলো হলো–
১) পালং শাক: ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ভিটামিন ই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পালং শাকে ভিটামিন ই, একাধিক খনিজ রয়েছে। ভিতর থেকে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে এই শাক।
২) অ্যাভোকাডো: পাউরুটির উপর মাখনের বদলে অনেকেই অ্যাভোকাডোর পরত দিতে পছন্দ করেন। ভিটামিন ই-র পাশাপাশি এই ফলে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং পটাশিয়াম। তা ত্বকের উপর বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
৩) কাঠবাদাম: রোজ একমুঠো কাঠবাদাম খেলেই ত্বকের অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেতে পারে। শুধু ভিটামিন ই নয়, কাঠবাদামে প্রোটিন, ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে। তা ছাড়া, কাঠবাদামের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই সব উপাদান ত্বকের জন্য ভাল।
৪) ব্রকোলি: শীতের বাজারে ফুলকপির পাশাপাশি ব্রকোলির রমরমাও দেখা যায়। আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটমিন সি, ই এবং প্রিবায়োটিক ফাইবারে সমৃদ্ধ ব্রকোলি। প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকে জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে এই সব্জি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, জ়িঙ্ক এবং কপারের মতো উপাদান ত্বকের সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে।
৫) চিনেবাদাম: টুকটাক, অল্প খিদেতে চিনেবাদাম খেয়ে থাকেন হামেশাই। ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই বাদাম ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ব্রণর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনেবাদাম খেয়ে থাকেন অনেকেই।