আপিল বিভাগের নির্দেশের পর সোমবার, ২২ জানুয়ারি রাতেই শুরু হয় রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ভাঙার কাজ ভাঙার কাজ। হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ নির্দেশ দেন। ৩০ দিনের মধ্যে শপিং সেন্টারটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতেই ভেঙে ফেলা হয় ভবনটির কিছু অংশ। পরে অরক্ষিতভাবে ভাঙার কারণে পুলিশের বাধার মুখে কাজ বন্ধ করা হয়। রাজধানীর গুলশান শপিং সেন্টার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় গত ১৩ জুলাই ভবনটি সিলগালা করে দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। শপিং সেন্টারটিতে ৭২৩টি দোকান আছে।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এক মাসের মধ্যে গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার আদেশ দেন। ডিএনসিসি, রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী। রাজউকের পক্ষে ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী সেদিন জানান, গত জুলাইয়ে রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত গুলশান শপিং সেন্টার ভেঙে ফেলার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বানী চিত্র ও চলচ্চিত্র নামে দুটি কোম্পানি। রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন। রুলের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গুলশান শপিং সেন্টার ৩০ দিনের মধ্যে গুঁড়িয়ে দিতে নির্দেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ চুক্তি অনুযায়ী দেয়া হয় ২০০ কোটি টাকা। শুরুর দিকে আপত্তি থাকলেও সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে খুশি ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, ভবনটি ভেঙে নতুন শপিং সেন্টার হলে ৪০০ ব্যবসায়ী দোকান করার সুযোগ পাবেন।