বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে তাদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলোসফির খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। এর প্রতিবাদে এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে প্রতিবাদ করেছেন তরুণ এই শিক্ষক। যে বিষয়ে পাঠ্যপুস্তকে কোনো আলোচনা নেই সেই বিষয়েও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলেই অপপ্রচার চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
পাবলিক সেমিনারে আসিফ মাহতাব বলেন, নতুন কারিকুলামের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান পাঠ্যবইয়ে শরীফ থেকে শরীফা হওয়ার যে গল্প আছে সেটির বিষয়বস্তু নিয়ে স্কুলের ছেলেমেয়েদের এক প্রকার ব্রেনওয়াশের মতো করা হচ্ছে, যেটা ইউরোপ-আমেরিকাতে করা হয়। এরপর সেমিনারে সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা এই বইটি বইয়ের দোকান থেকে ৮০ টাকা দিয়ে কিনে গল্পটির পাতা দুটি ছিঁড়বেন। পরে দোকানে আবার দিয়ে দিবেন। দিয়ে বলবেন, সেটি অর্ধেক দামে বিক্রি করতে। যাতে মানুষের সতর্ক হয়।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলেই অপপ্রচার চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির পর্যালোচনায় শরীফ-শরীফা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলছেন, বইয়ের আলোচিত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বয়স অনুযায়ী যথোপযুক্ত কি না- তা পর্যালোচনা হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই পাঠ্যপুস্তকে নেই এমন অগ্রহণযোগ্য বিষয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে । তবে শরীফ- শরীফার গল্পে উল্লেখিত বিষয়সহ পাঠ্যপুস্তকে আলোচিত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বয়স অনুযায়ী যথোপযুক্ত কি না তা যাচাই করতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিবে মন্ত্রণালয়।
নতুন কারিকুলামের সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের শরীফ-শরীফার বিষয়টি নিয়ে সৃষ্ট সমালোচনায় তা তদন্ত ও পর্যালোচনা করতে ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বইয়ের আলোচিত বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বয়স অনুযায়ী যথোপযুক্ত কি না তা ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির পর্যালোচনায় সিদ্ধান্ত হবে।
সমালোচনার নামে গুজবের লিপ্ত না হতে সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান মন্ত্রী।