আজ ৩০ জানুয়ারি ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ৭৫তম প্রয়াণ দিবস। ১৯৪৮ সালে আজকের দিনেই দিল্লির বিড়লা হাউসে মহাত্মাকে গুলি করেন নাথুরাম গডসে। ঘটনাস্থলেই মহাত্মা প্রাণ হারান। ৭৮ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন। তারপর থেকেই প্রতি বছর ভারতে এই দিনটি ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
মহাত্মা গান্ধী (১৮৬৯-১৯৪৮) ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের শীর্ষ নেতা ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের ওপর, যা ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি।
তিনি ছিলেন এই উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন। সারা ভারত ঘুরে বেড়ানো মহাত্মা গান্ধী শেষ সময়ে দিল্লির বিরলা হাউসে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় প্রার্থনা সভা হতো। প্রতিদিনই অংশ নিতেন কয়েকশ’ মানুষ।
১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনেই সন্ধ্যার প্রার্থনা সভার জন্য গান্ধীজি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে নাথুরাম গডসে নামে আততায়ী খুব কাছ থেকে তাঁর বুক লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি ছোড়ার আগে গডসে গান্ধীজির দিকে ঝুঁকে প্রণামও করেছিলেন। স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ১৭ মিনিটে মৃত্যু হয় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর। তাঁকে হত্যার দায়ে গডসেকে ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে, তার সহযোগী নারায়ন আপ্তেরও ফাঁসি হয়েছিল।