ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি দখলদার ইসরাইলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী তেহরানে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের সমাবেশে এ দাবি জানান।
অবিলম্বে গাজার জনগণের ওপর বোমা বর্ষণ বন্ধের দাবি জানান তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইসরাইলের ধ্বংস অনিবার্য। ইসরাইলকে সহায়তাকারী যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোরও তীব্র সমালোচনা করেন রাইসি।
তিনি গাজায় ইসরাইলি গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেন, বর্ণবাদী ইসরাইল এ পর্যন্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চারশ’ ইশতেহার, প্রস্তাব ও ঘোষণা লঙ্ঘন করেছে। তারা জাতিসংঘের প্রস্তাব ও নীতিমালা মানে না। অবৈধ দখলদার ইসরাইলের সদস্যপদ বাতিলের জন্য তিনি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের প্রধান ইস্যু। ফিলিস্তিনের প্রতি ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অকুণ্ঠ সমর্থন আগের মতোই অব্যাহত থাকবে।
রায়িসি বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বিশ্বের সবচেয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র। প্রাচ্য বা পাশ্চাত্যের তাবেদারি না করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট রাখার নীতিতে ইরান অটল রয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, ইরান ইস্যুতে শত্রুদের ভাষায় পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন আর ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক উপায় অবলম্বনের কথা চিন্তাও করতে পারে না।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার দাবিদারেরা ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনের জনগণের রায়কে মূল্য দিচ্ছে না, তাদের ভোটাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ইরান প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থা তথা জনগণের ভোটের ওপর প্রতিষ্ঠিত। আজকের ভাষণে তিনি বিপ্লব পরবর্তী ইরানের নানা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেছেন।