বাংলাদেশের সবথেকে বড় নান্দনিক ও দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার হচ্ছে পটুয়াখালীতে
মোঃ খোকন হাওলাদার (নিজস্ব প্রতিবেদক)
পটুয়াখালীতে নির্মাণ করা হচ্ছে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে বাংলাদেশের সবথেকে বড় নান্দনিক ও দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার। আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা থাকা এ শহীদ মিনারটি ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকায়, প্রায় ১০ একর জায়গায় নিমিত্ত হচ্ছে । সংশ্লিষ্টরা বলছেন শহীদ মিনারটি নিমিত্ত হলে এটি দেশের সেরা ও আধুনিক নানন্দিকতার শহীদ মিনার হিসেবে স্থান পাবে।
বাংলাদেশের সাগরকণ্যা খ্যাত দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর শেখ রাসেল স্কয়ার সংলগ্ন ঝাউতলায় নিমিত্ত হচ্ছে দেশের সবথেকে বড় নান্দনিক শহীদ মিনার। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে তৈরি করা হচ্ছে এই শহীদ মিনারটি। তবে ১০ একর জায়গায় নিমিত্ত এ শহীদ মিনার হবে আরো আকর্ষণীয় ও সৌন্দর্য পূর্ণ, শহীদ মিনারের একপাশে থাকবে সুন্দর একটি লেগ, পাশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হবে বিশাল উন্মুক্ত মঞ্চ, আরেক পাশে থাকবে বাহারি রকমের খাবারের দোকান, ফুলের বাগানের পাশাপাশি সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বসানো হবে বিভিন্ন কারুকাজ সংবলিত দেয়াল। যা দেখে মন ভরে যাবে আগত সকল দর্শনার্থীদের। সামনে বিশাল মাঠ থাকায় ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দিতে কোন সমস্যা হবে না। এক সঙ্গে কয়েক হাজার মানুষ শহীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারবেন। এছাড়াও এখানে সিটিং আরেজমেন্ট ও লেন্সিং ক্যাপিং সহ একটি অনন্য স্থাপনা হিসেবে শহীদ মিনারটি তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু ।
পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শহীদ মিনারটি হবে বাংলাদেশ ওয়ান অফ দ্যা ওয়ান শহীদ মিনার যেটা নিয়ে পটুয়াখালী বাসি গর্ব করতে পারবে। এখানে একটি সিটি সেন্টার সহ থ্রিডি প্লান তৈরি করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মান্নান বললেন এতদিন পটুয়াখালীতে তেমন কোন শহীদ মিনার ছিলো না যেখানে একএে অনেকে মিলে ভাষা শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা যেত। এই শহীদ মিনারটি তৈরি করা হলে আমাদের সে কষ্ট দুর হবে।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব কাজী আলমগীর বলেন, আমাদের নীতি ও নৈতিকতার যে আদর্শের পাদুপিট সেটা হচ্ছে ভাষা আন্দোলন। আর এই ভাষা আন্দোলন এর পাদুপিট থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর্জিত হয়েছে। এছাড়া শহীদ মিনারটি দেখতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন পটুয়াখালীতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শহীদ মিনার নির্মিত হচ্ছে এতে আমরা অনেক আনন্দিত ও খুশি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, দ্রুত কাজ এগিয়ে চলছে আসা করছেন ২১ শে ফেব্রুয়ারীর আগেই সব কাজ শেষ করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পটুয়াখালির এই শহীদ মিনারটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নান্দনিক ও দৃষ্টি নন্দন শহীদ মিনার হিসেবে স্থান পাবে বলে মনে করছেন সকলে।