আন্তর্জাতিক

ইরানে নিজ পরিবারের ১২ জনকে গুলি করে হত্যা

মোহনা অনলাইন

ইরানে এ ধরনের গণহত্যার ঘটনা বিরল। যদিও ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। সে একটি কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল ব্যবহার করে একটির পর একটি খুন করে এবং পরে দক্ষিণ-মধ্য প্রদেশ কেরমানে নিরাপত্তা বাহিনী তাকে গুলি করে হত্যা করে। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ইরানের একটি গ্রামীণ এলাকায়।

স্থানীয় সংবাদ সংস্থা আইএসএনএ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের কেরমান প্রদেশের বিচার বিভাগীয় প্রধান ইব্রাহিম হামিদি জানান, ৩০ বছর বয়সি এক যুবক তার বাবা, ভাই-সহ পরিবারের বাকি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছেন। পারিবারিক বিবাদের জেরেই পরিবারের ১২ জনকে খুন করা হয়েছে। জানা গেছে, হঠাৎ করেই বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের লোকেদের ওপর হামলা চালান ওই যুবক। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বন্দুক থেকে গুলি ছোড়েন তিনি। স্থানীয় পুলিশের দাবি, তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরও যুবকের হাতে বন্দুক ছিল। এমনকি, পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করেও গুলি চালান ওই যুবক।

পুলিশ বারবার তাকে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানায়। কিন্তু তিনি তা না করে পুলিশের দিকে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে নিরস্ত্র করতে পাল্টা গুলি চালালে নিহত হন ওই যুবক। ইরানে গণহত্যার ঘটনা বিরল, যেখানে রাইফেলই একমাত্র অস্ত্র যা মানুষের কাছে রাখার অনুমতি রয়েছে। দুই বছর আগে, পশ্চিম ইরানে একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারী আত্মহত্যার আগে তিনজনকে গুলি করে হত্যা এবং পাঁচজনকে আহত করেছিল। তাকে কর্মস্থল থেকে বরখাস্ত করা করা হয়েছিল। যার বদলা নিতে হত্যালীলা চালিয়েছিলেন ওই কর্মী। এর আগে ২০১৬ সালে এক যুবক তার পরিবারের ১০ জনকে গুলি করেছিলেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button