দীর্ঘ ১৫ বছরেও জানা যায়নি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের মূল কারণ। শেষ হয়নি নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া। হত্যা মামলার প্রক্রিয়া আপিল বিভাগে শুনানীর অপেক্ষায় আছে। আর বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ এখনো শেষ করতে পারেনি নিম্ন আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারীর সেই ভয়াল দিনের কথা জানাচ্ছেন রেযা খান।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টা। মুহুর্মুহু গুলির শব্দে হঠাৎ কেঁপে ওঠে পিলখানা। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দরবার হলে সমবেত সেনা সদস্যদের ওপর এলোপাতারী গুলি বর্ষণ শুরু করে তৎকালীন বিডিআরের বিপদগামী কতিপয় সদস্য।
বাইরে থেকে অনেকেই ভেবেছিলেন এটা নিয়মিত মহড়া। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই জানা যায় বিদ্রোহের খবর। বিদ্রোহীরা সেনা কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে চালায় গুলি ও নির্যাতন।
৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা ও পরিবারের সদস্যসহ ৭৪ জনকে হত্যা করে লাশ গুম করে বিদ্রোহীরা। ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী টানা চলে বিদ্রোহীদের তাণ্ডব। এক পর্যায়ে বিদ্রোহীদের তাণ্ডব নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ও সাভার ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্যাঙ্ক নিয়ে পিলখানার উদ্দেশে রওয়ানা দেয় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি দল। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আসার পর সেখানে যা দেখা যায়, তা ইতিহাসের আরেক হৃদয় বিদারক কলঙ্কজনক অধ্যায়।