জীবনধারা

তেজপাতা শুধু পাতা নয়, আছে অনেক গুণাগুণ

মোহনা অনলাইন

তেজপাতা আমরা সবাই-ই চিনি। রান্নার কাজে প্রতিদিনই এই মশলার প্রয়োজন হয়। অনেকে আবার তেজপাতা পুড়িয়ে ঘরের দূষিত বায়ু দূর করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, তেজপাতা ভেজানো পানি হজমে সাহায্য করে।

তেজপাতারও রয়েছে অবাক করার মতো অনেক গুণ, যেগুলো আমরা অনেকেই জানিনা। এখন জেনে নেবো তেজপাতার হরেক গুণ সম্পর্কে:

১. যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা আছে তাদের জন্য তেজপাতার সিনেওল উপাদানটি খুবই কার্যকর। এই উপাদানটি  ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা কমিয়ে ফুসফুসকে তাজা রাখতে সাহায্য করে।

২. কোনো ব্যথা, যন্ত্রণা বা প্রদাহ কমাতে তেজপাতার ইগুয়েনাল উপাদানটি বেশ কার্যকর। এই উপাদানটি একদম ভেতর থেকে ধীরে ধীরে যেকোনো যন্ত্রণা কমিয়ে দিতে পারে। এজন্য নিয়মিত তেজপাতা খেতে শুরু করুন।

৩. তেজপাতায় বেশকিছু জীবাণুনাশক উপাদান রয়েছে। এতে করে তেজপাতা বাতাসে পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। তেজপাতা পোড়ানোর পাশাপাশি রান্নায় নিয়মিত খেলেও এই উপকার পাওয়া যায়।

৪. তেজপাতার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান শরীরের ক্ষত ও প্রদাহ কমায়। চর্ম রোগ হলে তেজ পাতা থেতো করে ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে সকাল ও বিকেলে খেতে হবে ৪-৫ সপ্তাহ। এতেই চুলকানি বা দাদ জাতীয় ত্বকের সমস্যা চলে যাবে।

৫. তেজপাতায় থাকা পিনাইন, সিনেওল ও এলিমেসিন উপাদানগুলো মানসিক ক্লান্তি দূর করে কর্মক্ষমতা বাড়ায়। ফলে শরীর আর মন উভয়কে সতেজ করে তুলতে নিয়মিত তেজপাতা রান্নার সঙ্গে বা চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন।

৬. ধরুন শরীরের কোথাও ফোঁড়া হলো। খুব যন্ত্রণা হচ্ছে, খুব শক্ত হয়ে গেছে ফোঁড়াটি। এই অবস্থায় তেজপাতা কাজে লাগাতে পারেন। তেজপাতা বেটে ২-৩ বার সেটার প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে যাবে।

৭. আমাদের অনেকেরই মুখে রূচি থাকে না। খাওয়াদাওয়া করতে ভালো লাগে না। সেই ক্ষেত্রে তেজপাতা সেদ্ধ করে ছেঁকে ওই পানি কুলকুচি করলে মুখের অরুচি চলে যায়।

৮. তেজপাতার এলিমিসিন উপাদানটি আমাদের মনঃসংযোগ বাড়াতে পারে। মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে। আমরা যারা বিভিন্ন মানসিক অবসাদ বা হতাশায় ভুগি তারা নিয়মিত তেজপাতা খেতে পারেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button