দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শাহবাজ শরীফ। রোববার (৩ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এদিন জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে ভোট হয়। নির্বাচনে ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯২, নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন ৭৫ ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি ৫৪টি আসন পেয়েছে। তবে এই নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ জন্য জোট সরকার গঠন করতে শুরু থেকেই পিপিপি ও অন্য সমমনা দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন পিএমএল-এন নেতারা। একপর্যায়ে ছয়টি দলের একটি জোট গঠন করে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন। তবে, ভোটাভুটির আগেই অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল যে নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই শাহবাজই পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।
নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়েও পিএমএল-এন থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে বার বার নওয়াজ শরীফ নাম উঠে আসছিল। তবে নির্বাচনের পরে হঠাৎ করে এই দৌড় থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে ছোট ভাই শাহবাজ শরীফের নাম ঘোষণা করেন নওয়াজ।
এর আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খানের জোট সরকার বিদায় নিলে শাহবাজের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে। ওই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এবারও পাকিস্তানে এই ধরনের একটি জোট সরকার গঠন হতে যাচ্ছে।
রাজনীতি শুরুর পর উত্থান-পতনের ৩৪ বছরে এসে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার মাধ্যমে মিয়া মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফ ২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেবারই প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।