এমন অনেকেই আছেন যারা বাসে, ট্রেনে, মেট্রোতে ঘুমিয়ে পরেন। পার হয়ে যায় স্টেশন। কর্মক্ষেত্রে হয় দেরি। এমন ঘুমকাতুরে মানুষদের জন্য আজকের দিনটাকে একটু বিশেষ বলা যেতেই পারে। কারণ আজ বিশ্ব ঘুম দিবস।
প্রতি বছর মার্চ মাসের তৃতীয় শুক্রবার বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়। আজ সেই দিন (১৫ মার্চ ২০২৪) পালিত হবে বিশ্ব ঘুম দিবস। আসুন জেনে নেই বিশ্ব ঘুম দিবসের ইতিহাস ও গুরুত্ব।
পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই বলা হয় ভালো ঘুমের জন্য একজন মানুষকে অন্তত ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। বর্তমান সময়ে ঘুম সংক্রান্ত অনেক রোগ যেমন দীর্ঘস্থায়ী ঘুমের অভাব এবং ঘুমের ব্যাঘাতের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, বিষণ্নতা, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক সহ অনেক গুরুতর সমস্যার ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়। একটি অনুমান অনুসারে, আমেরিকায় প্রায় ৫০ থেকে ৭০ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘকাল ধরে কমবেশি গুরুতর ঘুমের ব্যাধিতে ভুগছেন। AIIMS-এর রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে এই সংখ্যা প্রায় ১০.৪ কোটি এই মুহূর্তে। আসুন জেনে নেই বিশ্ব ঘুম দিবসের ইতিহাস, গুরুত্ব ও তাৎপর্য।
বিশ্ব ঘুম দিবসের ইতিহাস
একজন সুস্থ মানুষের জন্য ভালো ঘুম হওয়া খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মানুষকে নানা রোগে ভুগতে হয়। তাই, ঘুম সংক্রান্ত এই সমস্যাগুলি এড়াতে, ওয়ার্ল্ড স্লিপ সোসাইটি ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ঘুম দিবস শুরু করে। সেই থেকে প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়। এখন বিশ্ব ঘুম দিবস ৮৮টিরও বেশি দেশে পালিত হয়। ঘুমের জন্য বার্ষিক সচেতনতা ইভেন্টটি একদল চিকিৎসা এবং গবেষকদের দ্বারা শুরু হয়েছিল। বিশ্ব ঘুম দিবসের প্রথম সহ-সভাপতি ছিলেন আপস্টেট মেডিকেল ইউনিভার্সিটির নিউরোলজির অধ্যাপক আন্তোনিও কুলেব্রাস এবং ইতালির পারমা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজির সহযোগী অধ্যাপক লিবোরিও প্যারিনো।
বিশ্ব ঘুম দিবসের তাৎপর্য
এই বছর বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হবে শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪ এ। বর্তমান সময়ে মানুষ খারাপ লাইফস্টাইল অবলম্বন করছেন, যার কারণে তাঁরা ঘুমের অভাবেও ভুগছেন। ঘুমের অভাবে মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই মানুষকে সচেতন করতে বিশ্ব ঘুম দিবস পালিত হয়। যাতে মানুষকে বোঝানো যায় যে কাজের পাশাপাশি ভালো ঘুম হওয়া আমাদের জন্য খুবই জরুরি।