উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন ‘এক আঘাতে শত্রু অঞ্চল’ দখল করার ক্ষমতা দেখানোর লক্ষ্যে পরিচালিত ‘ছত্রীসেনা’ মহড়ার তদারকি করেন।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়া শনিবার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সাম্প্রতিক বার্ষিক সামরিক মহড়ার কয়েকদিন পর উত্তর কোরিয়ায় এই ‘ছত্রীসেনা’ মহড়ার আয়োজন করে।
ওয়াশিংটন এবং সিউল পরিচালিত যৌথ বিমান বাহিনীর অনুশীলনের ব্যাপারে বিশেষ সংবেদনশীলতা দেখিয়েছে পিয়ংইয়ং। বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, উত্তরের বিমান বাহিনীকে তার সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে দুর্বল লিঙ্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
পিয়ংইয়ংয়ের সরকারি বার্তা সংস্থা ‘কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি’ জানিয়েছে, কিমের তত্ত্বাবধানে পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ছিল ‘যুদ্ধকালীন আকস্মিক পরিস্থিতিতে যে কোন অপারেশনাল পরিকল্পনার জন্য ছত্রীসেনাদের সংগঠিত করার প্রস্তুতি পরিদর্শন করা’ এবং তাদের সক্ষমতা বিচার করা।
এতে বলা হয়, সেনারা ‘একটি আদেশ জারি করা হলে শত্রু অঞ্চল দখল করার জন্য তাদের নিখুঁত যুদ্ধ সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে’।
কিম ‘আধুনিক যুদ্ধের প্রয়োজন অনুসারে প্রকৃত যুদ্ধক্ষেত্রে সর্বাধিক যুদ্ধ দক্ষতা অর্জনের জন্য’ ‘বাস্তববাদী এবং বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ পদ্ধতি প্রয়োগ করার’ গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
পিয়ংইয়ংয়ের অফিসিয়াল ‘রোডং সিনমুন’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত চিত্রে দেখা গেছে, কিমের ছোট মেয়ে জু এ দুরবীন ব্যবহার করে মহড়া পর্যবেক্ষণ করছে। তার বাবা এবং সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তারা পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
অন্য একটি ছবিতে অনেক ছত্রীসেনাদেরকে মাটিতে নেমে আসতে দেখার প্রেক্ষিতে স্থলভাগে সৈন্যদের অবস্থান নিতে দেখা যায়।