জীবনধারা

যৌন হয়রানির শিকার হলে যা করবেন

মোহনা অনলাইন

সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। কিছু বিকৃতমনা পুরুষের লালসার শিকার হতে হয় নারী এমনকি শিশুদেরও! প্রতিদিনের প্রকাশিত সংবাদে চোখ রাখলে আমরা দেখতে পাই কোনো না কোনোভাবে নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে এবং এর প্রতিবাদ না করতে পেরে আত্মহত্যা কিংবা প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যাও করা হচ্ছে।

যৌন হয়রানি রোধে নারীদের আত্মরক্ষার্থে কয়েকটি উপায়-

১. আপনি আত্মবিশ্বাসী হোন। চলাফেরার সময় আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টি এবং সুদৃঢ় পদক্ষেপই আপনার থেকে দূরে রাখবে বখাটেদের। পথে চলতে এরকম কাউকে সন্দেহ হলে আপনি সরাসরি তার চোখের দিকে তাকান। আপনার দৃষ্টি এবং আত্মবিশ্বাসই পারে বখাটেকে প্রতিহত করতে।

২. দিনে-রাতের যেকোনো সময় যখন একা কোথাও যাবেন তখন সতর্ক থাকুন। চলার সময় চারপাশের মানুষ সম্পর্কে অন্যমনস্ক থাকবেন না। সব জায়গায় সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।

৩. দিনে-রাতের যেকোনো সময় যখন একা কোথাও যাবেন তখন সতর্ক থাকুন। চলার সময় চারপাশের মানুষ সম্পর্কে অন্যমনস্ক থাকবেন না। সব জায়গায় সতর্ক দৃষ্টি রাখুন।

৪. ব্যবহৃত মোবাইলফোনের স্পিড ডায়াল লিস্টে সব সময় স্থানীয় পুলিশ, পরিবারের লোকজন কিংবা বন্ধুদের নাম্বর রাখুন। যাতে যেকোনো বিপদে তাদের মেসেজটি দিতে পারেন।

৫. আপনার পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং চারপাশের অবস্থা অনুযায়ী পোশাক পছন্দ করুন। আর সেই ধরনের পোশাক পরেই বাইরে যান। এমন পোশাক পরবেন না যাতে অন্যের দৃষ্টি অযথাই আপনাকে অনুসরণ করে। মার্জিত এবং রুচিশীল পোশাকই পারে অপনার ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে।

৬. যত্রতত্র যাতায়াতের ক্ষেত্রে সাধারণত গণপরিবহন (পাবলিক ট্রান্সপের্ট) ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন একা রিকশা, সিএনজি কিংবা ট্যাক্সিতে চলাফেরা করলে ওই চালাকদের কাছ থেকেও আপনি যৌন হয়রানির শিকার হতে পারেন। এমনকি স্কুলে কিংবা কলেজে যাওয়ার সময়ও একা না গিয়ে কয়েকজন মিলে চলাফেরা করুন। এক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন যে, নিরিবিলি এলাকা এবং একা চললে এ ধরনের হয়রানি বেশি হয়।

৭. চিৎকার দেওয়া ও প্রতিবাদ করা। ঘটনাস্থলের লোকজনকে সম্পৃক্ত করা। দ্রুত নিকটস্থ থানায় যাওয়া। সম্ভব হলে প্রত্যক্ষদর্শী কাউকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যাওয়া। সম্ভব হলে ছবি তুলে বা ভিডিও করে তা পুলিশকে দেওয়া।

৮. নির্জন স্থানে হেনস্থার শিকার হলে নিজের নিরাপত্তাকে সবার আগে গুরুত্ব দেওয়া। নিজের বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করুন কেউ আক্রমণ করলে তাকে শক্তভাবে প্রতিহত করবেন।

প্রকৃত পক্ষে সমাজের গুটিকয়েক মানুষ বখাটে। এটা তাদের মানসিক সমস্যাও বটে। তাই তাদের ভয়ে গুটিয়ে না থেকে আপনার আত্মবিশ্বাস এবং প্রতিবাদই পারে চলার পথকে সুগম করতে। আধুনিক নারী হিসেবে আপনার শক্ত অবস্থান এবং ব্যক্তিত্বই পারে সাফল্যের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দিতে। তাই শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্ত-সামর্থ্য হওয়ার চেষ্টা করবেন।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button