জীবনধারা

তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকতে খেতে পারেন ৭ খাবার

মোহনা অনলাইন

গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়ছে জনজীবণ। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। আপনার খাদ্যতালিকা এবং জীবনযাত্রায় সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করারও সময় এসেছে।

তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, আপনার এমন খাবার খাওয়া উচিত। যা আপনাকে ঠাণ্ডা এবং হাইড্রেটেড রাখতে পারে। সর্বোত্তম হাইড্রেশন বজায় রাখা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রীষ্মকালে মানুষের শরীরে ঘাম এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে জলের অনেক অভাব আসে। এছাড়াও, গরম আবহাওয়া আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত করে তোলে। তাই, অনেক বেশি পানীয় গ্রহণ করা ছাড়াও, আপনাকে অবশ্যই আপনার গ্রীষ্মকালীন ডায়েটে কিছু হাইড্রেটিং খাবার যোগ করতে হবে।

তাই আসন্ন গরমের জন্য আপনাকে স্বাস্থ্যকর উপায়ে প্রস্তুত হতে সাহায্য করার জন্য,  খাবারের একটি তালিকা দেয়া হল যা আপনি আরও ভাল হাইড্রেশনের জন্য অবশ্যই আপনার ডায়েটে যোগ করতে পারেন।

১) শশা: শশা হল আরও একটি হাইড্রেটিং খাবার যাতে ক্যালোরি কম থাকে। শশা সালাদ, স্মুদি বা সাইড ডিশ হিসাবে খাওয়া যেতে পারে। উচ্চ জলের উপাদান সহ, শশা আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতেও পারে।

২) তরমুজ: তরমুজ, গ্রীষ্মের গরম আবহাওয়ার জন্য উপযুক্ত কারণ এটি প্রায় ৯০ শতাংশ জল দ্বারা গঠিত। এটি ইলেক্ট্রোলাইট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ।

৩) পানি: পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। এক্ষেত্রে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেই পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। তীব্র এ গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। তবে ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

৪) সবজি: কাঁচা পেঁপে, পটোল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পালংশাক, টমেটোয় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। তাছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, সজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। যাদের ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়, তারা এ সময় ঢেঁড়স, বেগুন এড়িয়ে চলুন।

৫) আখের রস: আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

৬) বেলের শরবত: বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।

৭) দই: দই হল একটি প্রোবায়োটিক যা আপনাকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি গ্রীষ্মের সময় অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারে। দই খাওয়া শরীরে শীতল প্রভাব ফেলে।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button