দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ শুরু হয়েছে। এতে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি নির্বাচনী প্রতীক পেয়েছেন ‘ট্রাক’। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদের কার্যালয়ে তাকে এ প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এর আগে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে ক্ষমা চান মাহিয়া মাহি।
চলচ্চিত্রের জগৎ থেকে রাজনীতির মঞ্চে উঠে নৌকার মনোনয়ন ফরম কিনে আলোচনায় আসেন মাহিয়া মাহি (শারমিন আক্তার)। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের নৌকার মাঝি হতে চাইলেও দলের মনোনয়ন পাননি। এরপর রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে লড়ার ঘোষণা দেন। সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে গেলে নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারদের সমর্থনমূলক স্বাক্ষর তালিকা জমা দিতে হয়। সেই তালিকায় ‘ভুয়া স্বাক্ষর’ পাওয়ার অভিযোগে মাহির মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
পরে মাহিয়া মাহি প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। ঢাকায় কমিশনের আপিল শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়। আপিল শুনানির রায় নিজের পক্ষে পেয়ে মাহি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমার মনে হয় এটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে। কারণ সেখানে আমার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আমার এলাকার লোকজনই আমাকে মুটামুটি জোর করে বলেছে যে ‘আপনাকে নির্বাচন করতে হবে’। কারণ তারা জানে আমি মাঝি, যদিও আমি নৌকা পাইনি। তারা আমাকে নৌকার মাঝি হিসেবেই দেখতে চায়। আমি যাতে বিপুল ভোটে জিতে নৌকার মাঝি হই। এটা তারা আমাকে খুব করে চায়।
মাহির বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার কন্যানগর গ্রামে। তার নানার বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুণ্ডমালা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়ায়। আলাদা জেলা হলেও নাচোল ও তানোরের ভৌগোলিক অবস্থান পাশাপাশি।