শ্রুতিকটু এবং নেতিবাচক ভাবার্থ সংবলিত ২৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করেছে সরকার। সুন্দর ভাবার্থ সংবলিত নতুন নাম দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বুধবার (৩ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ কবির উদ্দীন এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন। এতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা অনুযায়ী ২৪৭ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, খুলনার কয়রার খাসিটানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে উদয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা পাটাচোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে করা হয়েছে ছায়াবিথী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জ্ঞানপ্রদীপ চোরমর্দ্দন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চোরমর্দ্দন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম জমিদারবাড়ি চোরমর্দ্দন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
নাটোরের লালপুর উপজেলার গোদাগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সালামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার চোরমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মাতৃছায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একই উপজেলার চুলধরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ফুলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার ভণ্ডগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বর্ণমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরও শ্রুতিকটু ও নেতিবাচক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
নাটোর সদরে অবস্থিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম ছিল ‘বলদখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে স্বপ্নসিঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ ছাড়া রাজশাহীর তানোরে অবস্থিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম ছিল ‘নটীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’।
শ্রুতিকটু ও বলতে-শুনতে আপত্তিকর বিদ্যালয়ের এমন নাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা হয়ে আসছিল। গত বছরের ১৯ জানুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা-২০২৩ জারি করে মন্ত্রণালয়।
এজন্য মন্ত্রণালয় এসব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে সুন্দর, রুচিশীল, শ্রুতিমধুর এবং স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় ইতিহাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মানানসই নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে এবং পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এরকম নেতিবাচক ভাবার্থ সম্বলিত স্কুলের নাম পরিবর্তন করা হবে।