ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আগামী মে মাসে হতে যাওয়া বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়ার দিকে ‘ঘনিষ্ঠ নজর’ রাখবে নয়াদিল্লি। বাংলাদেশ ও চীনা সেনাবাহিনী আগামী মাসে প্রথমবারের মতো যৌথ সামরিক মহড়া করবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্ভাব্য যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে চীনের বার্তাসংস্থা সিনহুয়া ও পিপলস ডেইলি। ‘চীন-বাংলাদেশ গোল্ডেন ফ্রেন্ডশিপ ২০২৪’ নামের এ যৌথ মহড়াটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নীতির আলোকে পরিচালিত হবে।
চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানায়, যৌথ প্রশিক্ষণে অংশ নিতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি মে মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশে একটি দল পাঠাবে।এই মহড়া হবে চীনা ও বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রথম যৌথ প্রশিক্ষণ। চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এই ধরনের কার্যকলাপ ‘দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্ব বৃদ্ধি এবং বিনিময় ও সহযোগিতাকে গভীরতর করার’ জন্য সহায়ক।
এদিকে বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ সামরিক মহড়ার বিষয়ে দিল্লিতে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, প্রতিবেশী দেশ কিংবা অন্যত্র এ ধরনের মহড়ার ওপর ভারত সব সময় দৃষ্টি রেখে চলে।
এদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে মুখপাত্রকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা বহুবার আমাদের কথা জানিয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অথবা অন্য কোথাও সব ধরনের ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখি। বিশেষ করে সেই ধরনের ঘটনা, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ওপর যা প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সব বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করে থাকি।’