প্রচণ্ড রোদে পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছেন নারীরা। যেখানে পুরুষরা কাজ করতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠছেন, সেখানে নারীরা কাজ করছেন আপনমনে। তবুও মজুরিতে বৈষম্য। একজন পুরুষ শ্রমিক যেখানে সারা দিন কাজ করে পাচ্ছেন ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, সেখানে নারী পাচ্ছেন ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পৃথিবীর অনেক দেশে নারী-পুরুষ সমান মজুরি পায় না। আমরা সেটা সমান করে দিয়েছি। আমরা নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার (১ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়বো। এজন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী থাকবে না। নিজেদের প্রয়োজন নিজেরা মেটাবো। কারো কাছে হাত পাতবো না। জাতির পিতা বলেছেন, ভিক্ষুক জাতির মর্যাদা থাকে না। আমাদের জনবল আছে, শ্রম দিতে পারবো, বাকি সম্পদকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বাড়াবো।’
শ্রমিকদের জন্য নেওয়া তার সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প কলকারখানা যাতে বন্ধ না হয়, সে ব্যবস্থা নিয়েছি। এমনকি করোনায় আমরা প্রণোদনা দেওয়াসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট সংকটেও শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের পাশে ছিলাম। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি ৮২০০-১২৫০০ করে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক দেশে নারী-পুরুষ সমান মজুরি পায় না। আমরা সেটা সমান করে দিয়েছি। নারী শ্রমিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের থাকার জন্য ডরমিটরি করে দিয়েছি।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। সরকার চায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠুক। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছে। শ্রমিকদের কল্যাণ দেখা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।