যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আগামী ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ বেছে নেওয়ার সময় এসেছে। বুধবার (২২ মে) সংবাদমাধ্যম এএফপি’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে ক্ষমতাসীনদের নড়বড়ে পরিস্থিতির মধ্যেই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন ঋষি সুনাক। স্থানীয় সময় বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে এই ঘোষণা আসে। এ সময় সুনাক জানান, তিনি রাজ্যের প্রধান রাজা চার্লস তৃতীয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। রাজাকে সংসদ ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন।
সুনাক বলেছেন, রাজা এই অনুরোধটি মঞ্জুর করেছেন। আগামী ৪ জুলাই একটি সাধারণ নির্বাচন হবে। এখন ব্রিটেনের ভবিষ্যত বেছে নেওয়ার সময়। সুনাক আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে নিজের সরকারের বিভিন্ন অর্জনের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া ভোটারদের আশ্বস্ত করেন তাকে যদি ভোট দিয়ে প্রধামন্ত্রী বানানো হয় তাহলে তিনি ব্রিটেনের উন্নয়নে কাজ করবেন।
জাতির উদ্দেশে এক সমাবেশে ঋষি সুনাক বলেন, ব্রিটেনের ভিত্তিকে আরও বেশি নিরাপদ ও ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণে আপনি কাকে এবং কীভাবে বিশ্বাস করবেন? ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি ২০১০ সাল থেকে টানা তিনবার ক্ষমতায় আছে। এই সময়ে দলটি অন্তত পাঁচবার প্রধানমন্ত্রী পদে পরিবর্তন এনেছে। কিন্তু দেশটির অর্থনীতি নড়বড়েই থেকে গেছে।
মুদ্রাস্ফীতির কারণে দ্রব্যমূল্য, জ্বালানি মূল্য ও সুদহার বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আকাশচুম্বী।
এমতাবস্থায় ২ মে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয় ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর সরকারের প্রতি আগাম জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিল লেবার পার্টি।
এখন কনজারভেটিভ পার্টি অনেকটাই বিভক্ত। দলটির নেতাকর্মীরা হতাশ। টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পর এবার তাদের পরাজয় হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
এদিকে নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমারের।