
গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যস্থতাকারী দেশ মিসর ও কাতারের মাধ্যমে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে হামাসের কাছে। গতকাল সোমবার মিসরের রাষ্ট্রায়ত্ত চ্যানেল আল কাহেরা নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রস্তাবটি হামাসের কাছে পৌঁছেছে। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র আবু ওবায়দা জুহরি জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন এবং ‘যত দ্রুত সম্ভব’ গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
তবে সেই প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে, তা পুরোপুরি অনিশ্চিত। কারণ প্রস্তাবনায় এই প্রথমবারের মতো ইসরায়েল হামাসকে সম্পূর্ণ নিরস্ত্রিকরণের দাবি জানিয়েছে। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামাস যদি নিজেদের নিরস্ত্র করতে সম্মত হয়, কেবল তাহলেই গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে গোষ্ঠীটির সঙ্গে পরবর্তী আলোচনার সেশন শুরু করবে ইসরায়েল।
হামাস এই শর্ত মানবে কি না- এখনও তা অনিশ্চিত। রয়টার্সকে এ ইস্যুতে আবু জুহরি বলেন, “হামাসের নিরস্ত্রিকরণ ইস্যুটির সঙ্গে অন্তত ১০ লাখ রেডলাইন যুক্ত। নতুন প্রস্তাব নিয়ে গোষ্ঠীর হাইকমান্ড আলোচনায় বসবেন। দেখা যাক কী সিন্ধান্ত নেন তারা।”
তিনি আরও বলেছেন, হামাস যত শিগগির সম্ভব এ ইস্যুতে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবে। এর আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দিয়েছিল হামাস। সেখানে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইসরায়েল যদি গাজা থেকে সব সেনা সরিয়ে নিতে সম্মত হয়, তাহলে হামাসও গাজায় বন্দি সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত করে দেবে।
তবে নিরাপত্তার অজুহাতে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়নি ইসরায়েল। ফলে জিম্মিরাও মুক্তি পায়নি। তবে এবার হামাস শিগগিরই প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে আশা করছেন মধ্যস্থতাকারীরা। মিসরের এক সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ প্রসঙ্গে বলেন, “হামাস এখন খুব ভালো করেই জানে যে সময় কত মূল্যবান এবং আমার বিশ্বাস, তারা শিগগিরই এ প্রস্তাবে সাড়া দেবে।”