সংবাদ সারাদেশ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ভোলায় প্রস্তুত ৮৬৯ আশ্রয়কেন্দ্র

মোহনা অনলাইন

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান নেওয়া লঘুচাপটি গভীর নিম্নচাপে রুপ নিয়েছে। এটি যে কোন সময়  ঘূর্ণিঝড় রেমালে রুপান্তরিত হতে পারে। যার প্রভাবে ভোলায় বিকেল থেকে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া বিরাজ করছে। ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।
ঝড় যেকোনো সময় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে এই সর্তকতায় ভোলায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে  ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় ৩ ধাপে প্রস্তুতি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ভোলার জেলা প্রশাসক।
শনিবার রাতে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান।
সভায় বলা হয়েছে, জেলার সাতটি উপজেলায় ৮৬৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ১২ টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল মোকাবিলায় জেলা শহরসহ সাতটি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।  দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে সাড়ে ১১ লাখ  টাকা, ২২২ মেট্রিকটন চাল এবং শিশু খাদ্য, শুকনো খাবার  ও গোখাদ্যর জন্য পর্যাপ্ত মজুদ দেওয়া হয়েছে। ছাড়াও জনগণের সেবার জন্য ৯২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী মানুষের সেবা দিতে ১৩ হাজার ৮৬০ সিপিপি সদস্য ও দুই হাজার জন রেড ক্রিসেন্ট সদস্য প্রস্তু রয়েছে। এছাড়াও জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নিয়েছে কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ সদস্যরা।  এছাড়া  জেলার অভ্যন্তরীণ সব রুটের ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহিদুজ্জামান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কায়সার খসরু, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিশুল কবীর, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম, জেলা রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলামসহ অন্যরা।
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button