রিমালে ছিন্নভিন্ন উপকূল, ভেসে গেছে মাছের ঘের
ঘূর্ণিঝড় রিমাল চলে গেলেও ছিন্নভিন্ন করে গেছে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূল। অসংখ্য মানুষের ঘরবাড়ি, গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে মাছের ঘের। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো বাগেরহাট জেলা। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জেলার মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলাসহ উপকূলীয় অঞ্চল তলিয়ে গেছে। এখনো ঝরছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। উপকূলে থামেনি ঝড়ো হাওয়া।
আমাদের বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি অমিত পাল জানিয়েছেন, গতরাতেই নদ-নদীগুলোয় স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট বেশি জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানগুছি নদীর তীরবর্তী মোড়লগঞ্জ উপজেলা, বলেশ্বর তীরবর্তী শরণখোলা উপজেলা, পশুর নদীর তীরবর্তী মোংলা উপজেলা, রামপাল উপজেলা ও বাগেরহাট সদরের বেশ কিছু গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার লোকালয়ে পানি ঢুকে মানুষের ঘরবাড়ি, চিংড়ি ঘের তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মোড়েলগঞ্জ উপজেলারও একই অবস্থা। প্রচণ্ড বাতাসে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে। নিচু এলাকা পুরো পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেকের ঘরের ভিতরে প্রায় এক ফুট পানি এবং বাইরে তিন চার ফুট পানিতে তলানো। নিম্ন আয়ের মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নিলেও খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। পবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আশ্রিতরা।
শরণখোলায় মাঝরাত থেকেই একটানা বাতাস বইছে। এই বাতাসে বেশ কিছু গাছ পড়ে গেছে। পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও পাওয়া যাচ্ছে না।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তাফালবাড়ি ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামের একটি বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ওই এলাকা তিন থেকে চার ফুট পানিতে প্লাবিত রয়েছে। সেখানকার মানুষরা অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। ঝড় চলে যাওয়ায় অনেকে নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে গেছেন।
বাগেরহাটের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান জানান, রোববার দুপুরের পর থেকে এ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।