আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বুধবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
অধিবেশনে কোরবানির পশুর সহজলভ্যতা, পরিবহন, হাট ব্যবস্থাপনা, অনলাইন মার্কেট মনিটরিং, ঈদযাত্রা, কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, চামড়া সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা, ঈদ ফিরতি যাত্রাসহ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি, কার্যক্রম ও আন্তঃদপ্তর নিবিড় সমন্বয়, ঈদপূর্ব সময়ে নিত্যপণ্যের সরবরাহ, মজুত ও মূল্য নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
কোরবানির পশুর সহজলভ্যতা, পরিবহন, হাট ও অনলাইন মার্কেট ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা বিষয়ে সিদ্ধান্তগুলো হলো:
১. কোরবানির পশুর সহজলভ্যতা এবং ক্রয়-বিক্রয়ে যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে সতর্ক নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে। অনলাইন মার্কেটের মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
২. কোরবানির পশুবাহী যানবাহনের চলাচল সুশৃঙ্খল ও নির্বিঘ্ন রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এ লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনসহ আন্তঃদপ্তর সমন্বয় জোরদার করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সরেজমিন তদারকি অব্যাহত রাখতে হবে।
৩. নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশুর হাট স্থাপন এবং যত্রতত্র হাট গড়ে ওঠার প্রবণতা রোধকল্পে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ পুলিশ বিভাগের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানির বিষয়ে যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে, তা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
৪. কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা যথাযথভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে।