মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছেন তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের সদস্যরা।
বুধবার (২৬ জুন) নারী মৈত্রী আয়োজিত রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে “তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে করনীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ফোরামভুক্ত নারী সংসদ সদস্যরা এ দাবি জানান।
তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের আহ্বায়ক শবনম জাহান শিলা এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনাব মাহফুজা সুলতানা-এমপি,(মহিলা আসন-৬), জনাব জারা জাবিন মাহবুব-এমপি,(মহিলা আসন-৭), জনাব মাসুদা সিদ্দিক রোজী-এমপি,(মহিলা আসন-৩৪), জনাব নাজমা আকতার-এমপি,(মহিলা আসন-৩৭), জনাব অনিমা মুক্তি গোমেজ (মহিলা আসন ২৯), জনাব শেখ আনার কলি পুতুল-এমপি, (মহিলা আসন-৩০), জনাব মাহফুজা সুলতানা, ( মহিলা আসন-৬) জনাব আশরাফুন্নেছা-এমপি,(মহিলা আসন-৪৪), জনাব কানন আরা বেগম (মহিলা আসন-৪১), জনাব লাইলা পারভীন-এমপি,(মহিলা আসন-১৩), জনাব সানজিদা খানম-এমপি,(মহিলা আসন-৩২), জনাব ফরিদা ইয়ছমীন-এমপি,(মহিলা আসন-৩৫), এবং জনাব হাসিনা বারি চৌধুরী-এমপি,(মহিলা আসন-৩১)।
তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন ফোরামের আহ্বায়ক শবনম জাহান শিলা এমপি। তিনি বলেন, তামাকের কারনে প্রতিবছর ১ লক্ষ্য ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এই মৃত্যুর হার হ্রাস করার লক্ষ্যে তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরাম এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা আইন সংশোধনী পাশের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী বরাবর স্বাক্ষরকৃত চিঠি প্রেরণ করেছি। এছাড়াও আমরা পার্লামেন্টে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি অধিকতর জনমত সৃষ্টির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গনমাধ্যমে তামাক বিরোধী বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছি।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের দাবি জানান ফোরামের অন্যান্য সদস্যরাও। তারা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। তরুনদের ধূমপানের অভ্যাস দেশের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয়। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা তামাকবিরোধী আন্দোলনে অনেকাংশে সহায়ক হতে পারে। তামাকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার ও কথা ব্যক্ত করেন তারা।
এছাড়াও ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের প্রতিনিধি মিসেস অ্যাড্রিয়েন পিজাটেলা, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর দক্ষিণ এশীয় কর্মসূচির পরিচালক ড. মাহিন মালিক এবং নারী মৈত্রীর সভাপতি মাসুমা আলম সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারা নারী সংসদ সদস্যদের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী প্রস্তাব সমর্থন করার জন্য ফোরাম সদস্যদের অনুরোধ জানান।