কোটা সংস্কার আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংস পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতেই শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। স্বাভাবিক করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সহিংস পরিস্থিতি বিবেচনায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ।
চার দিন বন্ধ থাকার পর গত বুধবার থেকে পেট্রাপোল দিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনই দুই দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস চালুর খবর পাওয়া যায়নি। আগামীকাল শনিবারও বন্ধ থাকবে মৈত্রী এক্সপ্রেস। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার পেট্রাপোল স্থলবন্দর থেকে শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি। বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাংলাদেশ অভিমুখী পণ্যবাহী প্রায় ৮০০ টিরও বেশি ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল পেট্রাপোল বন্দরে। কিন্তু এত দিন কার্যক্রম প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের অর্থ ক্ষতি হয়েছে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের।
পূর্ব রেলের জনসংযোগ কর্মকর্তা কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশের তরফ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মৈত্রী এক্সপ্রেসের শনিবারের যাত্রা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল শনিবার কলকাতা থেকে রওনা হওয়ার কথা ছিল ১৩১০৮ নম্বর মৈত্রী এক্সপ্রেসের। একই দিনে অর্থাৎ শনিবার ১৩১১০ নম্বর মৈত্রী এক্সপ্রেসের কলকাতা পৌঁছানোর কথা ছিল। দুটি ট্রেনই বাতিল থাকবে। তবে কবে এই ট্রেন চালু হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি ভারতীয় রেল।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উত্তপ্ত হয় বাংলাদেশ। তার জেরেই গত ১৯ জুলাই মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং কলকাতা-খুলনার মধ্যে যাতায়াতকারী বন্ধন এক্সপ্রেস বাতিল করে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা ভালো হলেও চালু করা হয়নি মৈত্রী এক্সপ্রেস।