দেশের সকল নাগরিকদের সুরক্ষায় গুম ও নির্যাতন বিষয়ক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। জোরপূর্বক গুম থেকে সব নাগরিককে সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশনে অন্তর্ভুক্তির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের এক দিন আগে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এ সময় বাকি উপদেষ্টারা করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বলপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের জন্য আন্তর্জাতিক ‘গুম প্রতিরোধ দিবস’ এর এক দিন আগে চুক্তিটি স্বাক্ষর হলো। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার চলতি সপ্তাহের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা বলপূর্বক গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করে।
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গুমবিরোধী সনদটি গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পরে ২০১০ সালে তা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সামগ্রিকভাবে এই সনদের লক্ষ্য গুম বন্ধের পাশাপাশি এই অপরাধের জন্য দায়মুক্তি বন্ধ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা দেওয়া। বিশ্বের ৭৫টি দেশ এই সনদে যুক্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ৯টি সনদের ৮টিতে সই করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘের দীর্ঘদিনের অনুরোধের পরও বাংলাদেশ গুমবিরোধী সনদে সই করেনি।