বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজে বৃষ্টির বাগড়া যেন পরিচিত দৃশ্য। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শুরুর আগেও বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেও বিরূপ প্রকৃতি। রাওয়ালপিন্ডিতে এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি থামার পরও মাঠ খেলার উপযোগী করতে আরো বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগবে। তাই নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু হচ্ছে না।
রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টের টস আজ বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১০টায় হওয়ার কথা ছিল। তবে মধ্য রাত থেকে পাকিস্তানের শহরটিতে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। পিচ কাভারে ঢাকা। কিছুক্ষণের জন্য থামলেও আবার ফিরে এসেছে বৃষ্টি। রাওয়ালপিন্ডির আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসও সুখকর নয়। সারা দিনই বৃষ্টি হতে পারে। এমনকি বজ্রঝড়ের আশঙ্কাও রয়েছে।
এর আগে এই মাঠে প্রথম টেস্টে প্রথম দিনেও একই চিত্র ছিল। সেদিন খেলা শুরু হতে দেরি হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। আজও একই রূপ রাওয়ালপিন্ডিতে। ভেন্যুটির পিচ ও আউটফিল্ডের বড় একটা অংশ কাভার দিয়ে ঢাকা।
প্রথম ম্যাচ জেতায় দ্বিতীয়টি হারলেও ড্র হবে সিরিজ। আর বাংলাদেশ যদি ম্যাচ জেতে কিংবা ড্র করে, তাহলে সিরিজ নিজেদের করে নেবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে হারিয়ে ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে বলে জানান তিনি।
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে গতকাল হাথুরুসিংহে বলেন, ‘মানসিকভাবে সবাই খুব চাঙ্গা আছে। পাকিস্তানকে পাকিস্তানের মাটিতে হারানো সহজ কাজ নয়। তারা অনেক শক্তিশালী দল। আমরা দ্বিতীয় ম্যাচেও দারুণ লড়াইয়ের প্রত্যাশা করছি।’
দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে গতকাল নিজেদের শেষবারের মতো ঝালিয়ে নিতে চেয়েছিল দুই দল। কিন্তু বৃষ্টির বাগড়ায় এদিন অনুশীলন করতে পারেননি ক্রিকেটাররা। ফলে উভয় দলই অলস সময় পার করেছে স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমে বসে। পুরো মাঠ ঢেকে রাখা হয়েছিল কাভারে। কোনোভাবেই মাঠে নামা সম্ভব হয়নি দুই দলের কারও।
বাংলাদেশ-পাকিস্তানের চলমান এই সিরিজ ২০২৩-২৫ আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। তাই উভয় দলের জন্যই শেষ ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জিতলেও, নির্দিষ্ট সময়ে ৩ ওভার পিছিয়ে থাকায় স্লো ওভার রেটের নিয়মে তাদের ৩ পয়েন্ট খোয়াতে হয়েছিল। একই কারণে দলের প্রত্যেক সদস্যকে তাদের ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হয়।
একই অপরাধে শাস্তি পেয়েছে পাকিস্তান দলও। নির্দিষ্ট সময়ে ৬ ওভার পিছিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। তাতে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৬ পয়েন্ট হারিয়েছে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে দলের প্রত্যেক সদস্যকে তাদের ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা গুনতে হয়।