Top Newsজাতীয়

ঢামেকে জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও বন্ধ বহির্বিভাগ

মোহনা অনলাইন

দিনভর বন্ধ থাকার পর রোববার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি সেবা দেওয়া শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। তবে বহির্বিভাগে সেবা আপাতত বন্ধ থাকবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ এর ঘোষণা দেয় চিকিৎসকরা। তবে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা আশ্বাসে জরুরি বিভাগ চালু হলেও এখনও বহির্বিভাগ সেবা বন্ধ রয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বহির্বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার কাজী আবু সাঈদ। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের নেতা বলেছেন, আগামী সাত দিন সারাদেশেই হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ থাকবে।

নিরাপত্তা নিয়ে চিকিৎসকদের উদ্বেগের মধ্যে রাত সোয়া ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের ভেতরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। বিজিবি সদস্যরা মোতায়েন আছেন হাসপাতালে বাইরেও। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রোববার রাত ৮টার দিকে জরুরি বিভাগে ফিরেছেন চিকিৎসকরা। তারা কাজে যোগ দিয়েছেন। এতে আমাদের হাসপাতালের ইমার্জেন্সি সার্ভিসগুলো চালু হয়েছে।

“ইমার্জেন্সি ক্যাজুয়ালিটি, নিউরো সার্জারি এগুলো হচ্ছে আমাদের ইমার্জেন্সি সার্ভিস। এছাড়া এইচডিইউ, আইসিইউ, ইনডোরে যারা এরই মধ্যে ভর্তি আছেন; জরুরি অপারেশন, সিসিইউ এসব সার্ভিস চালু হয়ে গেছে। পাশাপাশি জরুরি বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক্সরে, সিটিস্ক্যানও চালু হয়েছে।”

বহির্বিভাগে রোগী দেখা আপাতত বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ৩১ আগস্ট সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরে ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন চিকিৎসকরা।

একই দিন মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের সিপাহীবাগ এলাকা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসেন। তখন অন্য আরেক গ্রুপ চাপাতিসহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় হাতেনাতে চারজনকে আটক করে সেনাবাহিনীকে দেয় কর্তৃপক্ষ।

পরে অন্য আরেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে ভাঙচুর চালায় রোগীর স্বজনরা। এতে করে নিরাপত্তা শঙ্কায় জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। আলটিমেটামের ২৪ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই কর্মবিরতিতে যান তারা।

এদিকে, ঢামেক হাসপাতালের (ঢামেক) নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসকের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা হয়। মামলায় বেসরকারি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষকসহ তিন শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

 

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button