ভোর পাঁচটার পর থেকে শুরু হওয়া প্রায় দুই ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে পানি জমে তৈরি হয়েছে জলজট। মুষলধারের এই বৃষ্টিতে রাজধানীর কোথাও জমেছে হাঁটু পানি, কোথাও তার চেয়ে বেশি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঘর থেকে কাজে বের হওয়া মানুষ।
মঙ্গলবার সকালের বৃষ্টিতে রাজধানীর মিরপুর ১০, বারিধারা, গুলশান, বনানী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমেছে। এতে সকালে কর্মস্থল, স্কুল ও বিভিন্ন প্রয়োজনে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
এদিকে, সকাল ৭টার দিকে জলাবদ্ধ গ্রিন রোডে কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে আটকে থাকতে দেখা গেছে। ইঞ্জিনে পানি উঠে যাওয়ায় সেগুলো স্টার্ট নিচ্ছিল না। কারওয়ানবাজারে রিকশার আসন পর্যন্ত পানি উঠতে দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ গণপরিবহনের সংখ্যা অনেক কম। আবার দীর্ঘ সময় পরপর গাড়ি আসলেও সবগুলোতেই প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে ওঠা যাচ্ছে না। পানি জমার কারণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট। দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর লোকজনকে বাস থেকে নেমে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
বৃষ্টিতে ঢাকার আদাবর, নূরজাহান রোড, ধানমণ্ডি, কলাবাগানের বশিরউদ্দিন রোড, কাঁঠালবাগান, শেওড়াপাড়া, মালিবাগ, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, বংশাল, বকশীবাজার, সাতরাস্তা, তেজগাঁও, তেজকুনীপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পানি জমেছে। এসব এলাকার রাস্তায় কোথাও জমেছে হাঁটুপানি, কোথাও কোমরসমান পানি। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে দেখা গেছে সকালে কর্মস্থল, স্কুল ও বিভিন্ন প্রয়োজনে বের হওয়া সাধারণ মানুষকে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বদিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।