আইন উপদেষ্টা হয়ে আসার পর বেশ কিছুদিন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সামনে আসেননি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কেউ কেউ দাবি করেছেন, তিনি বিদেশে চলে যাচ্ছেন।
সোমবার ফেসবুকে একজন লেখেন, এক উপদেষ্টা তিন সন্তান, স্ত্রীসহ সহসাই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাচ্ছেন। সেখানে কমেন্টের ঘরে একজন আসিফ নজরুলের নাম লেখেন। গুজবের এই ডালপালা যাতে আর না ছড়াতে পারে সেজন্য সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক লাইভে আসেন উপদেষ্টা। কথা বলেন গুঞ্জনসহ নানা ইস্যু নিয়ে।
এমতাবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়াতে কম আসার কারণ জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা নিজেই। গতকাল সোমবার বিকেলে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক থেকে লাইভে এসে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি বিভিন্নভাবে জানতে পারলাম যে আমি কেন মিডিয়াতে অনুপস্থিত? এটা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের জল্পনা-কল্পনা হচ্ছে। এমনকি কেউ কেউ এমন সব আজগুবি কথা বলেছেন, আমি নাকি বিদেশে চলে যাচ্ছি। এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা বা চিন্তাও আমার মাথায় নেই। আমি মনে করি, এ ধরনের তথ্য, গুজব, গুঞ্জন বা আজগুবি তথ্য যারা ছড়াচ্ছেন, তারা জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে, সেটাকে বিতর্কিত করতে অসৎ উদ্দেশ্যে করছে।’
আইন উপদেষ্টা সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘এসব কথায় আপনারা কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। আমি কয়েক দিন আগেও পত্রিকাতে ইন্টারভিউ দিয়েছি।
তবে এটা ঠিক আমি মিডিয়াতে কম আসি। আমার অনেক কাজ। আমার মনে হয়েছে আমার কার্যক্রমে যদি কোনো অগ্রগতি হয়, সেটা আমি আপনাদের জানাব। অহেতুক কেন মিডিয়ায় আসব? এখন তো আমি আর টক শোর মানুষ না। এখন আমাকে অনেক কাজ করতে হবে, কাজটাতে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। আমার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের দুই ক্ষেত্রেই কিছু অগ্রগতি হচ্ছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনাদের অগ্রগতিগুলো জানাব।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘যারা এ ধরনের গুজব, গুঞ্জন রটাচ্ছেন; তাদের কোনো ধরনের ইনভেস্টিগেশন ছাড়া এ ধরনের গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ করছি। না হলে মানুষ তো আপনাদের মিথ্যাবাদী ভাববে, আপনাদের কথা বিশ্বাস করবে না। এগুলা করা উচিত না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য, রাষ্ট্র সংস্কার করার জন্য বরং আপনারা আমাদেরপজিটিভলি সাজেস্ট করবেন। ভুল হলে বলবেন। একদম সম্পূর্ণ আজগুবি, অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয় কোনো তথ্য দেওয়ার তো কোনো মানে হয় না। এটা এক ধরনের চরিত্র হননও। আমি আশা করি, আমার বক্তব্যের মাধ্যমে সব বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে।’
এর আগে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বাংলা একাডেমি ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রে যথাক্রমে মোহাম্মদ আজম ও আফসানা বেগমের নিয়োগ হলে গত ৫ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে এক লাইনের পোস্টে লিখেছিলেন, ‘বাংলা একাডেমি আর গ্রন্থকেন্দ্র পছন্দ হয়েছে? শিল্পকলাও হবে আশা করি।’ এরপর কয়েক দিন পরই ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট দেন, ‘দখল ছাড়ে না ভেতরের বিষণ্ন মানুষ’।